উপজেলায় এবছর পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হওয়ায় এবং বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ও ভাল দামে পেঁয়াজ বিক্রয়ের লক্ষ্যে জমি থেকে পেঁয়াজ উত্তোলনে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা।

উপজেলায় এবছর পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হওয়ায় এবং বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ও ভাল দামে পেঁয়াজ বিক্রয়ের লক্ষ্যে জমি থেকে পেঁয়াজ উত্তোলনে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা।

এছাড়াও রমজানকে সামনে রেখে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার পিঁয়াজখালী পাইকারী হাটে চলছে পেঁয়াজ কেনাবেচার ধুম। পেঁয়াজ উৎপাদনে সারা দেশের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ফরিদপুর জেলা।

ভালো মানের ও উন্নত জাতের পেঁয়াজ উৎপাদনের জন্য খ্যাতি রয়েছে এ জেলার। ফরিদপুরে তিন ধরনের পেঁয়াজ উৎপাদন হয়ে থাকে মুড়িকাটা, হালি ও দানা পেঁয়াজ। হালি ও দানা পেঁয়াজ বাজারে আসতে এখনো অনেকটা সময় বাকি। কিন্তু এখন বাজার ভরে আছে আগাম জাতের মুড়িকাটা পেঁয়াজে। এখানকার উৎপাদিত মুড়িকাটা পেঁয়াজ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানী হচ্ছে। এ হাটে প্রতিমন পেয়াজ ৩হাজর ৮শ থেকে ৪হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয় চাষিরা বলছেন এবছর পেঁয়াজের ভালো দাম পেয়ে তারা অনেক খুশি। প্রতি বছর উৎপাদন মাত্রা এভাবে বাড়তে থাকলে আগামীতে বিদেশ থেকে আর কোন পেঁয়াজ আমদানি করতে হবে না।উপজেলা কৃষি অফিসার নিটুল রায় জানান আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবছর পেঁয়াজের ফলন ভাল এবং উপজেলায়

১৪৬৯ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষাবাদ হয়েছে। পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ মাত্রা ১৩৮৭ হেক্টর থাকলেও তা বেড়ে ৮২ হেক্টর ছাড়িয়ে যায়। এমন দাম পেলে এ অঞ্চলে আগামীতে পেঁয়াজ চাষাবাদ আরো বৃদ্ধি পাবে। সাধারণ কৃষকরা মনে করেন ভারতীয় পেঁয়াজ আমাদানি না করা হলে বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের ভালো দাম পাবেন তারা।