গত ১৬ মে হাবিব ও তার দলবলের হামলার শিকার হন মোমিন। পরে ২৩ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।গ্রেপ্তার হাবিব ফুলবাড়ী উপজেলার চৌরাইট গ্রামের শাহ্ সুফির ছেলে।র‌্যাব-১৩’র সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সালমান নূর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।র‌্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত হাবিব স্বীকার করেছেন কয়েকজনের সহায়তায় মোমিনুর কে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে । তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার বিকেলে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

দিনাজপুরের ফুলবাড়িতে চাঞ্চল্যকর মোমিনুর হত্যা মামলার প্রধান আসামি হাবিবকে (২৩) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১৩।৬ জুলাই শনিবার দুপুর ২টার সময় দিনাজপুর শহরের বড়গুড়গুলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে র‍্যাব-১৩,একটি  দল তাকে গ্রেপ্তার করে।

 গত ১৬ মে হাবিব ও তার দলবলের হামলার শিকার হন মোমিন। পরে ২৩ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।গ্রেপ্তার হাবিব ফুলবাড়ী উপজেলার চৌরাইট গ্রামের শাহ্ সুফির ছেলে।র‌্যাব-১৩’র সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সালমান নূর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।র‌্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত হাবিব স্বীকার করেছেন কয়েকজনের সহায়তায় মোমিনুর কে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে । তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার বিকেলে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।  

জানা গেছে, গ্রেফতারকৃত হাবিব এর বাবা শাহ সুফি’র সঙ্গে একই এলাকার মোমিনুর রহমান ও শওকত আলীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আদালতে মামলা রয়েছে। মামলার কারণে গত ১৫ মে শাহ্ সুফিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এতে করে হাবিবের সন্দেহ হয় যে, তার বাবাকে মোমিনুর রহমান ও শওকত আলী সহায়তা করে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছে। ঘটনার প্রেক্ষিতে পরের দিন ১৬ মে সকাল ৭টার দিকে বাড়ির সামনের রাস্তায় হাবিব তার সহযোগীদের নিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ বাঁশের লাঠি নিয়ে মোমিনুর রহমান ও শওকতকে মারধর করে। আহত অবস্থায় মোমিনুর রহমান ও শওকত আলীকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে ফুলবাড়ী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।

অবস্থার অবনতি হলে পরবর্তীতে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য শওকত আলীকে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং মোমিনুর রহমানকে দিনাজপুর চেকআপ ডায়াগনস্টিক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। ওই দিনই মোমিনুর রহমানের পরিবারের পক্ষ থেকে ফুলবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।  পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৩ জুন মোমিনুর রহমান মারা গেলে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়। মামলা হওয়ার পর থেকেই হাবিব আত্মগোপনে চলে যায়। পরে র‍্যাব ছায়াতদন্ত করে পলাতক আসামির অবস্থান নির্ণয় করে আত্মগোপন অবস্থায় হাবিবকে গ্রেপ্তার করে।ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোস্তাফিজার রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশের সহয়াতায় র‍্যাব-১৩, অভিযুক্ত হাবিবকে গ্রেফতার করে থানায় সপোর্দ করেছে, সে বর্তমানে থানা হাজতে আছে। জিঙ্গাসাবাদ শেষে রোববার তাকে দিনাজপুর আদালতে প্রেরন করা হবে।