ফেনী পিটিআই স্কুলের পুকুরটি এডিস মশার প্রজননের একটি কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এডিস মশা ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া এবং জিকা ভাইরাসের মতো বিপজ্জনক রোগ ছড়ায়। সাধারণত, এডিস মশা স্থির পানিতে ডিম পাড়ে, আর এই পুকুরটি সেই উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছে। পুকুরে বাজারের ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে পানি সঠিকভাবে প্রবাহিত হতে পারছে না এবং সেখানে দূষিত পানির স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছে, যা মশা জন্মানোর জন্য আদর্শ জায়গা শহরের প্রাণকেন্দ্রে এই ধরনের একটি পুকুর স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টি করছে, বিশেষ করে বর্ষাকালে যখন মশার সংখ্যা দ্রুত বাড়ে। শহরের জনসংখ্যার ঘনত্ব এবং আশপাশের বসতি এলাকাগুলোর কারণে এই সমস্যাটি আরও গুরুতর হয়ে উঠছে। সঠিক সময়ে ব্যবস্থা না নিলে, শহরজুড়ে ডেঙ্গু বা অন্যান্য মশাবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে।এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। পৌর কর্তৃপক্ষের নিম্নলিখিত কাজগুলো করা উচিত:1. পুকুর পরিস্কার ও ড্রেনেজ উন্নতি: প্রথমে পুকুরের পানি নিষ্কাশন করে আবর্জনা সরিয়ে ফেলা এবং পুকুরের চারপাশের ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নত করা প্রয়োজন। এতে পুকুরে পানি জমে থাকা রোধ করা যাবে এবং মশার প্রজনন বন্ধ হবে।2. নিয়মিত নজরদারি: পুকুরটি পরিষ্কার করার পরও নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যেতে হবে যেন পুনরায় ময়লা জমে না এবং মশার জন্ম না হয়।3. মশা নিধন কর্মসূচি: পুকুরের আশপাশে এবং শহরের অন্যান্য স্থানে মশার ওষুধ স্প্রে করা দরকার, যাতে প্রাপ্তবয়স্ক মশা এবং লার্ভা ধ্বংস করা যায়।4. সচেতনতামূলক প্রচারণা: স্থানীয় জনগণকে এডিস মশা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে সচেতন করা জরুরি। পুকুরে বা আশেপাশে আবর্জনা না ফেলা, জলাধারগুলিকে ঢেকে রাখা, এবং বাড়ির আশেপাশে পানি জমতে না দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।পৌরসভা যদি সময়মতো এই পদক্ষেপগুলো না নেয়, তবে জনস্বাস্থ্য সংকট তৈরি হতে পারে, যার পরিণতিতে হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং শহরের মানুষের জীবনে ঝুঁকি বাড়বে।