থানা ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর পরিবারে কোন মোবাইল ফোন না থাকায় আত্মীয়দের সাথে কথা বলার জন্য মাঝে মধ্যে প্রতিবেশী অভিযুক্ত আলামিনের মোবাইল থেকে কথা বলতো।

বরগুনার বামনা উপজেলায় দশম শ্রেণির এক স্কুল শিক্ষার্থীকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষন ও ধর্ষনের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ায় ধর্ষক আলামিন (৩০) ও তার সহযোগী স্ত্রী তাজেনুর বেগমের (২৩) উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর স্কুলের শিক্ষক, সহপাঠী ও অভিভাবক। মঙ্গলবার (২২ আগষ্ট) দুপুরে উপজেলার খোলপটুয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় জন প্রতিনিধি রামনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলাম জমাদ্দার, প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন, ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি নুর-ই আলম হাওলাদার, সহপাঠি সোনিয়া আক্তার, সহ ওই ভুক্তভোগীর সহপাঠী ও শিক্ষকবৃন্দ।

মানববন্ধনে বক্তারা আটক ধর্ষক ও তার সহযোগী স্ত্রীর উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন। থানা ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর পরিবারে কোন মোবাইল ফোন না থাকায় আত্মীয়দের সাথে কথা বলার জন্য মাঝে মধ্যে প্রতিবেশী অভিযুক্ত আলামিনের মোবাইল থেকে কথা বলতো। এই সুযোগে আলামিন প্রায়ই তাকে কু-প্রস্তাব দিতো। গত ২৮ জুলাই বিকেল তিনটার দিকে আলামিনের স্ত্রী তাজেনুর বেগম কাঁথা সেলাই করার জন্য ডেকে নিয়ে ভুক্তভোগীকে ঘরের পাটাতনে আসতে বলে। সেখানে আগে থেকেই অভিযুক্ত ধর্ষক অবস্থান করছিলো। তাকে দেখে ওই শিক্ষার্থী দৌড়ে নিচে নামতে গেলে স্ত্রী তাজেনুর বেগম তাকে বাঁধা দেয় এবং টেনে হিচরে পাটাতনে ফেলে দেয়।

 ধর্ষক ভুক্তভোগীর পড়নের পোশাক খুলে ফেলে তাকে ধর্ষন করেন। এ সময় তার স্ত্রী ওই ধর্ষনের ঘটনা মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করেন ও ছবি তুলে রাখেন। ওই ভিডিও এবং ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার তাকে ধর্ষন করে আলামিন। পরবর্তীতে সে আলামিনের প্রস্তাবে পুনরায় রাজি না হলে ওই ধারণ করা ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর বাবা বিষয়টি জানতে পেরে বামনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠায়।