রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন বলেছেন, ‘ততকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান, অবৈধ ও স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী খুনি শেখ হাসিনা ভেবেছিলেন তিনি আজীবন ক্ষমতায় থাকবেন। এজন্য তিনি সকল প্রকার কৌশল অবলম্বন করেছিলেন। আইন-শৃংখলা বাহিনী, বিচার বিভাগ ও সব ধরনের অফিসকে নগ্ন দলীয় করণ করেছিলেন। আইন-শৃংখলা বাহিনীকে দিয়ে সর্বদা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের নির্যাতন করাতেন। শুধু তাই নয় গায়েবী মামলাসহ রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলেও পাঠাতেন।সোমবার বিকেলে কেশরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে কেশরহাট পৌর যুবদলের আয়োজনে যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।আল্লাহ ছাড় দেন, কিন্তু ছেড়ে দেন না মন্তব্য করে তিনি মিলন বলেন, তিনবারের সফল সাবেক প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্রের মা বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে জেলে রেখেছিলেন। তিনি সাড়ে ছয় বছর কারাগারে অমানবিক কষ্ট করেছেন। তাকে ঠিকভাবে চিকিৎসা পর্যন্ত করতে দেয়া হয়নি। শুধু তাই নয় বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আগামীর রাষ্ট্র নায়ক তারেক রহমানের নামে আশিটিরও অধিক মিথ্যা মামলা করিয়েছেন খুনি হাসিনা। এছাড়া তাকে আমানবিকভাবে নির্যাতন করেছিলো ওয়ান ইলেভেন এর সময়ে। এরপর তিনি লন্ডনে যান চিকিৎসা নেয়ার জন্য। সেই থেকে এখনো সেখানেই রয়েছেন।কেশরহা পৌর যুবদলের আহ্বায়ক শাহীন আলমের সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল ইসলাম রেজা ও সদস্য সচিব মশিউর রহমান এর সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান লিটন।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেশরহাট পৌর বিএনপি’র সভাপতি আলাউদ্দিন আলো, মোহনপুর উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক মাহবুব আর রশিদ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন বকুল, সদস্য সচিব বাচ্চু রহমান, কেশরহাট পৌর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক খুশবর রহমান, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ওসমান আলী। এছাড়াও কেশরহাট ও মোহনপুর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ReplyForward |