ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজলার ৭নং রামগোপালপুর ইউনিয়নের পাচাঁশি গ্রামে বিদ্যুতের খুটি স্থাপনকে কেন্দ্র করে খুন ও অর্ধ-শতাধিক বাড়ী-ঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনাস্থল বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে পরিদর্শনে আসেন ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মাসুম আহাম্মদ ভূইয়া।

এ সময় তিনি বলেন আমার ১৬ বছরের চাকরি জীবনে এমন ঘটনা দেখিনি, এটা ন্যাক্কার জনক ঘটনা।  এখানে আমার একাধিক টিম কাজ করছে। কারা কারা জড়িত রয়েছে আমাদের কাছে ইতিমধ্যে তথ্য আছে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। কোন তৃতীয় পক্ষকেও ছাড় দেওয়া হবে না। হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে, এখন অগ্নি কান্ডের ঘটনায়ও মামলা হবে। কোন ঘটনা ঘটার পর আইনের আশ্রয় না নিয়ে কার ইন্ধনে আইন নিজের হাত তুলে নেয়া হলো তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমি ওসিকে বলে দিয়েছি কঠিন ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন গৌরীপুর উপজলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন খান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নিলুফার আনজুম পপি, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল আমিন জনি, গৌরীপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান, গৌরীপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু কাউছার চৌধুরী রন্টি প্রমুখ। উল্লেখ্য, বিদ্যুতর খুটি স্থাপনকে কেন্দ্র করে বিগত১৯ ফেব্রুয়ারী (রবিবার) সকাল আনুমানিক সাড় ১১টায় সাজ্জাদুল হক নামের এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় উত্তেজিত এলাকাবাসী অর্ধ-শতাধিক বাড়ী-ঘরে অগ্নি-সংযোগ করে। 

হত্যার ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে ২০ ফেব্রুয়ারী গৌরীপুর থানায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামী মামলা দায়ের করে। গত ২০ ফেব্রুয়ারী গৌরীপুর থানা পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।