উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত দিনাজপুরের বীরগঞ্জে আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় স্বপ্ন বুনছেন কৃষক। প্রতিবছর আমন ধান চাষের মাধ্যমে এ উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্তের মাধ্যমে বড় ধরনের ভূমিকা রেখে আসছে বরাবরই। উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের কৃষকরা তাদের এক ইঞ্চি জমিও পতিত রাখেনি। যতদূর চোখ যায় চারদিকে যেন সবুজ রঙের ফসলের সমারোহ। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার আহ্বানে মাঠ পর্যায়ে উপ-কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের রোপা আমনের চারা রোপণ করতে উৎসাহ যুগিয়েছেন। কৃষি অফিসের অনুপ্রেরণায় রোপা আমনের বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছে কৃষক। আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে কার্তিক মাসে কৃষকরা তাদের ফসল ঘরে তুলতে পারবেন। বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে রোপা আমন মৌসুমে রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল প্রায় ২৯ হাজার ৫৭৫ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ২৯ হাজার ৫৭৮ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের রোপা আমন চাষ আবাদ অর্জন হয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে আমন ধানের ক্ষেতগুলো সবুজে সবুজে ভরে উঠেছে। বিস্তীর্ণ এলাকাগুলোতে আমন ধানের শীষ বাতাসে দোল খাচ্ছে, দেখে মনে হয় সবুজ বিছানা। এই অপরুপ সৌন্দর্য দেখে যেন চোখ জুড়িয়ে যায়। আর ক্ষেতগুলোকে নিয়ে কৃষকের রঙিন স্বপ্ন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমন ধানের ফলন ভালো হবে বলে স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছন। উপজেলা সদর বলাকা মোড় শিমুল তলা কালিবাড়ী সংলগ্ন এলাকার কৃষক মান্নানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, এক বিঘা জমিতে এবার আমন চাষ করেছি। পোকামাকড়ের আক্রমণ খুবই কম, যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দেয় তাহলে গত বছরের চেয়ে এ বছর বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি। উপজেলার সুজালপুর ইউনিয়নের বোয়ালমারী গ্রামের কৃষক সতীশ চন্দ্র বর্মন জানান, এ বছর বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকেই বৃষ্টি হওয়ার ফলে ধানের চারার ভালো ফলন হয়েছে। তাই আশা করা যায় বাকি সময়ে যদি কোনো দুর্যোগ না হয়, ভালোভাবে ধান তুলতে পারলে লাভবান হতে পারি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: শরিফুল ইসলাম জানান, মাঠপর্যায়ে ধান চারা রোপণ থেকে শুরু করে সবকিছু কৃষকদের দেখিয়ে দিয়েছি। তাদের পরামর্শ দেয়া ও কৃষি অফিস থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হয়েছে। এবছর সন্তোষ জনক ফলন হওয়াতে কৃষকদের মধ্যে খুশির আমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।