আগামী (০৯ অক্টোবর) মহাষষ্ঠীতে মণ্ডপে মণ্ডপে ঢাক কাঁশর ঘণ্টা উলুধ্বনি আর পুরোহিতের চন্ডী পাঠ দিয়ে শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। সনাতনীদের বৃহৎ শারদীয় দুর্গোৎসবে মেতে উঠবে পূজা মণ্ডপ। মণ্ডপগুলোতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। ১০ অক্টোবর মহাসপ্তমী, ১১ অক্টোবর মহাঅষ্টমী, ১২ অক্টোবর মহানবমী এবং ১৩ অক্টোবর দশমী তিথি প্রতীমা বির্সজনের মধ্যে দিয়ে সম্পন্ন হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় শারদীয় উৎসব দুর্গাপূজা। পাড়া-মহল্লায় প্রতিমা তৈরিতে দিনরাত ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা। শিল্পীরা নিপুণ হাতে কাঠ, বাঁশ, বন ও মাটি দিয়ে তৈরি করছেন দেবী দুর্গার প্রতিমা।
প্রতিটি মণ্ডপের জন্য তৈরি হচ্ছে দুর্গা, সরস্বতী, লক্ষ্মী, কার্তিক। মহিষাসুর, মা দুর্গার বাহন সিংহ, লক্ষ্মীদেবীর বাহন পেঁচা, সরস্বতী দেবির বাহন রাজহাঁস, গণেশের বাহন ইঁদুর ও কার্তিকের বাহন ময়ুরসহ বিভিন্ন প্রতিমা। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, এ উপজেলায় প্রতিমা তৈরির মৃৎ শিল্পীরা গত দু’দিন আগেই রং তুলি করার কাজ সম্পন্ন করেছে। মন্ডপগুলোতে সব ধরনের সাজসজ্জার কাজ সম্পন্ন করেছে।
উপজেলার বেতাগী কেন্দ্রীয় সর্বজনীন কালী মন্দিরের দুর্গামণ্ডপের সভাপতি তপন কর্মকার বলেন, ‘ইতিমধ্যে প্রতিমা তৈরি ও মণ্ডপের সব ধরনের সাজসজ্জা সম্পন্ন করা হয়েছে।’
বেতাগী উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জনাব কৃষ্ণ কর্মকার বলেন, ধর্মীয় এ উৎসবকে ঘিরে মণ্ডপগুলো প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় একেবারেই শেষের পথে। যথা সময় আমাদের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে আশা করি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফারুক আহমেদ বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের জন্য ইতিমধ্য সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, পূজা উৎসবকে ঘিরে সকল ধরনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।