কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বাড়ি ভাড়া দেয়া ও জবর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগকারী ও অভিযুক্ত দুইজনই সহোদর। তারা শহরের কমলপুর উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকার মৃত আতাউর মিয়ার ছেলে আনোয়ার মিয়া ও আল আমিন মিয়া। অভিযোগটি বড় আনোয়ার মিয়ার তার ছোট ভাই আল আমিনের বিরুদ্ধে। অভিযোগের সত্যতা জানতে কমলপুর এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তদের ভবনটি সাততলা। ভবনটির গেইটে তালা ঝুলানে রয়েছে। সেই সাথে লেখা রয়েছে বাড়ি ভাড়া দেয়া হবে। যদিও নাম্বারটি তাদের মায়ের। কিন্তু আদালতে ১৪৪ ধারা জারি করা রয়েছে বলেই এটি আইনত দ্বন্দ্বনীয় অপরাধ দাবী আনোয়ার মিয়ার। এদিকে স্থানীয়রা বলছেন, আতাউর মিয়ার দুই ছেলে সতেরো বছর যাবত ইটালীতে থাকে। তাদের টাকা পয়সা ও সম্পদের অভাব নেই। কিন্ত তারা দুই ভাই মিলেমিশে থাকতে পারছে না। তাদের আত্ম সম্মানের ভয় থাকলে আদালতে না গিয়ে পারিবারিক ভাবেই বিষয়টি শেষ করতে পারতো।এ বিষয়ে অভিযোগকারী আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার নিজের টাকায় বিল্ডিং নির্মাণ করেছে আমার বাবা। আমার ছোট ভাইয়ের অর্ধেক টাকার দেয়ার কথা থাকলেও সে পুরো টাকা দেয়নি। আমি আদালতের মাধ্যমে ১৪৪ ধারা জারি করে রেখেছি। এদিকে আমার ভাই সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বাড়ি দখলে করে ভাড়া দেয়ার চেষ্টা করছে। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমি প্রশাসনে কাছে বিচারের দাবী করছি। এ বিষয়ে আনোয়ারের মা হালেমা বেগমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার স্বামীর মৃত্যুর আগে বিল্ডিংটি করা হয়েছে। আমার দুই ছেলেই তাদের বাবার কাছে টাকা পাটিয়েছে। এখন বড় ছেলে দাবী করছে বিল্ডিং তার৷ আমার বড় ছেলে আমাকে চিকিৎসাসহ খাবাবর দাবারেও টাকা পয়সা দেয় না। এ বিষয়ে আনোয়ারের বড় বোন জামাই হিরা মিয়া বলেন, আমরা পরিবারিক ভাবে মিমাংসার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারা আমাদের রায় না মেনে দুইজনই আদালতের মরণাপন্ন হয়েছে। আর তাদের মায়ের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা৷ এখন অভিমান থেকেই তিনি বড় ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা বলছেন। কারণ তিনি নিজেই কোটি টাকার সম্পদের মালিক। তার ছেলেদের কাছ থেকে টাকা পয়সা নিতে হবে কেন৷ এ বিষয়ে অভিযুক্ত আলআমিন বলেন, আমার বাবার বিল্ডিংসহ বাড়িঘর আমার বড় ভাই একা দখলের চেষ্টা করছে। আমি যা করছি আদালতের মাধ্যমে আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করছি। পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে আমার ভাই মায়ের সাথে অসাধারণ করেছে। আমার মাকে আমি দেখাশোনা করছি।