মাগুরা মহম্মদপুরের কানুটিয়া-রাজাপুর সড়কের কলমধরি খালের উপরের ব্রিজটি এখন মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে।

মাগুরা মহম্মদপুরের কানুটিয়া-রাজাপুর সড়কের কলমধরি খালের উপরের ব্রিজটি এখন মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। ব্রিজটিতে একপাশ ডেবে গেছে এবং ভয়াবহ ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে ২০ গ্রামের ৪০ হাজার মানুষের নিয়মিত যাতায়াতের সমস্যা হচ্ছে। উপজেলা শহরে যেতে এই ব্রিজটি ব্যবহার করেন এলাকাবাসী। এছাড়াও কৃষি ফসল আনা নেওয়া করা, সাধারণ যানবাহন চলাচল, এ্যামবুলেন্স সহ সাধারণ মানুষের যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৩ সালে ৭৭ মিটার দীর্ঘ ব্রিজটি কানুটিয়া-রাজাপুর সড়কের কলমধরি খালের উপর এই নিমার্ণ করা হয়। এতে দুপারের মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা অনেক সহজ হয়। ব্রিজটি আট মাস আগে একপাশ ডেবে যায়। এতে ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে এই ব্রিজ। মেরামত বা নতুন ব্রিজ নিমার্ণে স্থানীয় প্রশাসনের তেমন কোনো উদ্দোগ নেই।সরেজমিনে দেখা যায়, ব্রিজটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় বেশ ঝুঁকিতে রয়েছে পথচারীরা। ব্রিজের উপর এক পাশে মাটি দিয়ে উচুঁ করে রাখা হয়েছে যাতে ভারী যানবাহন চলাচল করতে না পারে। এতে পন্য পরিবহন করাসহ জরুরী কাজের জন্য লোকজনকে অনেক পথ ঘুরে উপজেলা সদরে যেতে হচ্ছে।এলাকাবাসী জানান, আট মাসের বেশি হল এই ব্রিজটি যানবাহন নিয়ে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। কৃষি ফসল নিয়ে ব্রিজে উঠতে পারছে না তারা। এমনকি জরুরি কাজে যাতায়াতের জন্য তারা যানবাহনেও যেতে পারছে না। অনেক পথ ঘুরে তাদেরকে গন্তব্য স্থানে যেতে হচ্ছে। এতে ভোগান্তি চরমে উঠেছে।শিক্ষার্থী জানায় তাদের পড়াশোনার জন্য স্কুল কলেজে যেতে হয়। ব্রিজের উপর দিয়ে গাড়ি যেতে পারছেনা তাই স্কুল ও কলেজে যেতে সমস্যা হচ্ছে তাদের। ব্রিজটি দ্রুত ঠিক করার কথা জানায় তারা।মাগুরার এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী আ ন ম ওয়াহিদুজ্জামান জানান, ব্রিজটি যাতায়াতের জন্য অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। ইতিমধ্যে ব্রিজটি ভিজিট করেছে কর্তৃপক্ষ। ব্রিজটি এখন পুরোপুরি ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় গাড়িতে পন্য নিয়ে পারাপার নিষেধ করা হয়েছে। আশা করি কর্তৃপক্ষ ব্রিজটির ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।