গণকমিটির মাগুরা জেলার আহ্বায়ক এটিএম মহব্বত আলীর এ সময় বলেন মাগুরায় বর্ধিত পৌরকর প্রত্যাহার জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া, মাগুরা টেক্সটাইল মিল চালু করা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার দাবিতে গণকমিটির এই মানববন্ধন।

মাগুরায় বর্ধিত পৌরকর প্রত্যাহার করার দাবিতে মানববন্ধন করে গণকমিটির মাগুরা জেলা শাখা (১০ সেপ্টেম্বর ) সকাল ১১.৩০ মিনিটে মাগুরা পৌরসভার সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

গণকমিটির মাগুরা জেলার আহ্বায়ক এটিএম মহব্বত আলীর এ সময় বলেন মাগুরায় বর্ধিত পৌরকর প্রত্যাহার জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া, মাগুরা টেক্সটাইল মিল চালু করা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার দাবিতে গণকমিটির এই মানববন্ধন। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণকমিটি মাগুরা জেলার আহ্বায়ক এটিএম মহব্বত আলী , যুগ্ম আহ্বায়ক শিক্ষাবিদ কাজী নজরুল ইসলাম ফিরোজ, মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের সাবেক শিক্ষক নজরুল ইসলাম, গণকমিটি মাগুরা জেলার সদস্য শামসুন্নাহার জোছনা, এডভোকেট আহমেদ হোসেন, বজলুর করিম রাখু, আব্দুর রহিম, আশরাফুজ্জামান শামীম। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন গণকমিটি মাগুরা জেলার সদস্য সচিব প্রকৌশলী শম্পা বসু। 

সমাবেশে বক্তারা বলেন, "সম্প্রতি মাগুরা পৌরসভায় পৌরকর বিগত বছরের তুলনায় কয়েক গুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। পৌর নাগরিকদের সাথে কোন ধরনের আলোচনা ছাড়া, পূর্ব কোন নোটিশ ছাড়া, কোন নিয়মে এই কর বৃদ্ধি করা হলো তা আমরা অবহিত নই। বরং পৌরকর দেওয়ার পরও তেমন পৌরসেবা না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এখানে কোনো আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি, ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে যায়।

বাড়ছে অপরিকল্পিত নগরায়ন, দেখার কেউ নেই। শহরের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কারের ভালো কোন ব্যবস্থাপনা নেই। বিভিন্ন এলাকার বর্জ্য নদীতে ফেলে নদী দূষণ করা হয়। শহরে নারী ও পুরুষের জন্য নিরাপদ, স্বাস্থ্যসম্মত পাবলিক টয়লেট নেই। বিভিন্ন এলাকায় স্ট্রিট লাইট নেই বা নষ্ট। অনেক এলাকায় রাস্তা ভাংগাচোরা, খানাখন্দে ভরা, মানুষের দুর্ভোগ হয়। সব এলাকায় নিয়মিত মশার ওষুধ দেওয়া হয় না।  পৌরসভা সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করছে না কিন্তু আমাদের ট্যাক্স বাড়িয়ে দিচ্ছে। অবিলম্বে এই বর্ধিত পৌরকর প্রত্যাহার করতে হবে।" 

বক্তারা আরো বলেন, "মাগুরা জেলার প্রধান প্রধান সংকটগুলোর মধ্যে অন্যতম বেকার সমস্যা। এই সংকট সমাধানে তেমন কোন উদ্যোগও চোখে পড়ে না। জেলায় কর্মসংস্থানের কোন ব্যবস্থা নেই, এখানে সরকারি কোন শিল্প কলকারখানা গড়ে ওঠেনি। মাগুরা টেক্সটাইল মিল অনেক বছর ধরে বন্ধ হয়ে আছে। মাগুরা দেশের কোন প্রান্তিক এলাকা না। মাগুরা থেকে ঢাকা, মংলা বন্দর ইত্যাদি কাছে এবং যোগাযোগ ভালো। মাগুরায় ধান, পাটসহ কৃষিপণ্য ভালো উৎপাদন হয়।এ দিকে রয়েছেন যেমন নদী নবগঙ্গা, মধুমতি, ফটকিসহ বেশকিছু নদী আছে। তাহলে কেন এই জেলায় শিল্প কলকারখানা গড়ে তোলা হবে না কেন?" সমাবেশ শেষে নিম্নলিখিত দাবি জানান হয়--অবিলম্বে বর্ধিত পৌরকর প্রত্যাহার,জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ, মাগুরা টেক্সটাইল মিল চালু কর, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, নিত্যপণ্যের দাম কমানো। সমাবেশ শেষে পৌর প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।