ময়মনসিংহ নগরীর রহমতপুরে আজহার ফিলিং স্টেশন ও ইন্ট্রাকো সিএনজি গ্যাস পাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই দগ্ধ হয়ে মো. হিমেল (২৫) নামে এক প্রাইভেটকার চালক মারা যায়। এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল কুদ্দুস আরেকজন মারা যায়।এঘটনায় রহমতপুরের আরিফ হোসেনের ছেলে আবুল হোসেন (৪৫), মৃত ইসমাইলের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস (৮৫), জমির উদ্দিনের ছেলে আব্দুল মালেকসহ (৫০), মুক্তাগাছার খেরুয়াজানি ইউনিয়নের খিলগাতী গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে আনোয়ার হোসেন (২৫) ও জামালপুরের ঘোড়াধাপ গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে হাসেম আলীসহ (৩৫) আটজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আব্দুল কুদ্দুস চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাঁচজনকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।এদিকে খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম, পুলিশ সুপার আজিজুল ইসলাম ও সেনবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন।কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম জানান, আজহার ফিলিং স্টেশন ও ইন্ট্রাকো সিএনজি গ্যাস পাম্পে এলপিজি লড়ির ট্যাঙ্কার থেকে এলপিজি ফিলিং স্টেশনে স্থানান্তরের সময় লিকেজ থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ইন্ট্রাকো সিএনজি গ্যাস পাম্পে গ্যাস নেয়ার সময় একটি প্রাইভেটকার ও একটি সিএনজি অটোরিকশায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাইভেটকারের চালক হিমেল মারা যায়। এছাড়া আগুনে দগ্ধ হয় কমপক্ষে ৮ জন।ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, আগুন লাগার পর দ্রুত আমরা ঘটনাস্থলে যাই। ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিটের দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। পাম্পের গ্যাস লাইন ফেটে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা আড়াইটার দিকে রহমতপুরে আজহার ফিলিং স্টেশন ও ইন্ট্রাকো সিএনজি গ্যাস পাম্পে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের শব্দ পেয়ে এগিয়ে যান তারা। সেখানে নিমিষেই আগুনের লেলিহান শিখা আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় ৪টি দোকানেও আগুন লেগে যায়।