যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী কল্যান সমিতির সদস্যদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেছে বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ

যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী কল্যান সমিতির সদস্যদের নিয়ে  মতবিনিময় সভা করেছে বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব), সুনামগঞ্জ মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় পৌরশহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরিতে এমতবিনিময় সভ অনুষ্ঠিত হয়।নাটাব সুনামগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক নির্মল আচার্য'র সঞ্চালনায় নাটাবের সভাপতি ধূর্জটি  কুমার বসু'র সভাপতিত্তে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ বক্ষব্যাধি হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. অতনু ভট্টাচার্য, ডা. রাজেস সিনহা।ডা. অতনু ভট্টাচার্য বলেন, আমাদের দেশে প্রতি এক লক্ষ জনগোষ্ঠীর মধ্যে ২২১ জন যক্ষ্মায় আক্রান্ত হচ্ছেন। যদি আমাদের সুনামগঞ্জে ৫ লক্ষ জনগোষ্ঠী থাকে তাহলে ২২১×৫ (১১০৫) প্রতিবছর এই পরিমাণে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। কিন্তু উন্নত দেশে কতজন আক্রান্ত হচ্ছেন? উন্নত দেশের আক্রান্তর হার হচ্ছে ১০ অথবা তার নিচে প্রতি লক্ষ্য জনগোষ্ঠীতে। তাহলে আমরা আছি ২২১এ আর আমাদের উন্নত দেশ আছে দশে। তাহলে যদি আমাদেরকে উন্নত দেশের মত হতে হয়। আমাদেরকে যদি উন্নতশেখরে করে পৌঁছাতে হয় তাহলে আমাদেরকে এই জায়গাটাতে কাজ করতে হবে এখানে যক্ষা রোগীর পরিমাণ কমিয়ে আনতে হবে। কমিয়ে এনে এটাকে আমাদেরকে দশের মধ্যে আনতে হবে। জাতিসংঘ এসভিজি একটা বোর্ড ঠিক করেছে যে ২০৩০ সালের মধ্যে আমাদের কিছু লক্ষ্য মাত্র আছে, এ লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে টিবি নিয়েও একটা লক্ষ্যমাত্রা আছে। এই-যে বললাম ২২১ থেকে কমিয়ে আনতে হবে এইকমিয়ে আনাটাই হল আমাদের লক্ষ্য। আর এই লক্ষ্য পূর্ণ হবে আমাদের সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে। যদি শুধুমাত্র চিকিৎসা দেওয়া হয় তাহলে এটা সম্ভব না। কিন্তু চিকিৎসার সাথে যদি প্রতিরোধক মূলক ব্যবস্থা সঠিকভাবে নেওয়া যায় এবং যদি আমরা জন-মানুষকে সম্পৃক্ত করে সচেতন করে ফেলতে পারি তাহলেই এটা সম্ভব।
এসময় নাটাব এর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।