চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চিশতী। তিনিই রাঙ্গুনিয়ার ইতিহাসে প্রথম ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পিয়ারুল ইসলামের স্বাক্ষরিত একটি অনুলিপিতে গত ১৭ ই আগস্ট ২০২৩ ইংরেজি তারিখে হতে ২৩ আগস্ট ২০২৩ ইংরেজি তারিখ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত হিসেবে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন আবুল কাশেম চিশতী। অনুলিপি সূত্রে জানা যায়, চিকিৎসা জনিত কারণে বর্তমান চেয়ারম্যান ভারত সফরে অবস্থান করাই অনুপস্থিতখালীন সময়ে জন্য জেলা পরিষদের সদস্য ও ১ নং প্যানেল চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চিশতীকে জরুরী রুটিন কার্যদির বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চিশতী। তিনি গত ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ ইং তারিখে জেলা পরিষদের এক সভা থেকে সর্বসম্মতিক্রমে তাঁকে ১ নং প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
গণমাধ্যমকে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। যথাযথ দায়িত্ব পালন করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি দোয়া ও সহযোগিতা চেয়েছিলেন। এ দিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চিশতি জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন মহল হতে পৃথক বিবৃতিতে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের বিখ্যাত জমিদার অছি মিয়া সওদাগরের নাতি আবুল কাশেম চিশতী আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিত প্রাণ। তিনি চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবং চট্টগ্রাম জেলা কারাগারের কারা পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। জাতীয় দৈনিক রূপালী দেশ পত্রিকার প্রধান উপদেষ্টা হিসেবেও তিনি দায়িত্বরত আছেন। এছাড়াও, বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য এই নেতা চট্টগ্রাম জেলা মুক্তিযুদ্ধা সংসদের প্রাক্তন ডেপুটি কমান্ডার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।
এবং চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক, সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক ও সদস্যের দায়িত্ব ছিলেন। তিনি মরিয়ম নগর ইউনিয়ন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান সভাপতি। চট্টগ্রাম ঐতিহাসিক মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা উৎযাপন পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ সংগঠক ছিলেন। রাঙ্গুনিয়ায় উপজেলা ও নিজ ইউনিয়ন মরিয়ম নগর আওয়ামীলীগ গঠনে ৭০ দশক হতে তার অবদান অপরিসীম। ১৯৮৬ সনে রাঙ্গুনিয়া সংসদীয় আসনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে দলীয় প্রতীক নৌকা অর্জন করলেও পরবর্তীতে পরিবর্ধিত পরিস্থিতিতে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের অনুসারী সমমনা দলসমূহের ঐক্যের ভিত্তিতে তৎকালীন নির্বাচনী জোট "১৫ দলীয় জোট" গঠিত হলে দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ১৫ দলীয় প্রার্থী কমিউনিস্ট পার্টির মোঃ ইউসুপ এমপি (৯১) এর সমর্থনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন।