বোরো ধান কাটা শুরু করেছেন রাঙ্গুনিয়ার দেশের ২য় বৃহত্তম গুমাইবিলের কৃষকরা। গরমেও কৃষকদের মধ্যে নেই কোন ক্লান্তি। জানা যায়, এবারে হতে পারে বম্পার ফলন। তবে ফলন সম্ভবনাময় হলেও কৃষকের মুখে নেই কোন হাঁসি। গুমাইবিলে পাকা সোনালী ধান দুলছে। গরমের ভিতর কৃষক তাদের ধান কাটা চলমান রেখেছেন।

বোরো ধান কাটা শুরু করেছেন রাঙ্গুনিয়ার দেশের ২য় বৃহত্তম গুমাইবিলের কৃষকরা। গরমেও কৃষকদের মধ্যে নেই কোন ক্লান্তি। জানা যায়, এবারে হতে পারে বম্পার ফলন। তবে ফলন সম্ভবনাময় হলেও কৃষকের মুখে নেই কোন হাঁসি। গুমাইবিলে পাকা সোনালী ধান দুলছে। গরমের ভিতর কৃষক তাদের ধান কাটা চলমান রেখেছেন। 

তবে (বৃহস্পতিবার) ২মে দিবাগত রাত থেকে প্রচুর বৃষ্টি ও তীব্র বাতাসের কারণে ফসল নষ্ট হওয়ার ভয় কৃষকের দুশ্চিন্তা আগ্রাসন করে রেখেছে। এছাড়াও কৃষকরা অতিমাত্রায় দৈনিক বেতন হওয়ায় শ্রমিকের মজুরি নিয়ে বেশ চিন্তিত রয়েছে। 

গুমাইবিলের কয়েকজন কৃষকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, জমিনে আশাধিক ফলন হলেও উৎফুল্ল হওয়ার কথা থাকলেও দুশ্চিন্তা সময় কাটাচ্ছে, কারণ বৃষ্টির সাথে তীব্র বাতাসে ফসল নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে তাছাড়া শ্রমিকের বেতন এখন ১হাজার টাকার অধিক। জমি থেকে ওই ধান আনা সম্ভব হবে না। গুমাইবিলসহ রাঙ্গুনিয়ায় বিভিন্ন বিলে বিপুল পরিমাণ জমি অনাবাদি পড়ে থাকে। অনাবাদি থাকা বিষয়ে ওখানকার কৃষক জানান, কৃষি অফিসের অসহযোগীতা, পরামর্শ, নিয়মিত যোগাযোগ না থাকার কারনে আবাদী জমিগুলীকে অনাবাদী থেকে যায়।

কৃষকরা আরো জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের দায়িত্বরতরা সরকারি কাজকে যদি কর্তব্য মনে করতো ওইসব জমি অনাবাদী থাকতো না। কৃষি গবেষণা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি, উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ, গবেষণার অবকাঠামো উন্নয়ন, এবং স্থানীয়ভাবে কৃষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা এবং কৃষিতে যান্ত্রিককরণ করতে পারলে গ্রামীণ অর্থনীতির চিত্র বদলে যাবে।

কৃষি অফিস সূত্রে জানায়, এবারে রাঙ্গুনিয়ার কৃষকরা চাষাবাদ করেছেন ৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। গুমাইবিলসহ সব বিলে জমিতে ধান কাটা শুরু করেছেন।