বিভাগে নানা অনিয়ম ও শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা করার প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মনোবিজ্ঞান বিভাগের দুই শিক্ষিকাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও পাঁচ দফা দাবি জানান তারা।
মনোবিজ্ঞান বিভাগ অফিসের সামনে অভিযুক্ত দুই শিক্ষিকার ছবি সংবলিত ব্যানারে ‘অবাঞ্ছিত ঘোষণা’ লিখে বিভাগের সামনে টানাতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।অভিযুক্তরা হলেন অধ্যাপক ড. মাহবুবা কানিজ কেয়া ও অধ্যাপক ড. নাজমা আফরোজ। তারা দুজনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আক্রমণাত্মক আচরণ, পর্যাপ্ত ক্লাস না নেওয়া এবং রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম-অবিচার করার অভিযোগ এনে অধ্যাপক ড. মাহবুবা কানিজ কেয়াকে অবাঞ্চিত করেন শিক্ষার্থীরা। অন্যাদিকে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা, রুমে ডেকে হুমকি ও মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া এবং মিথ্যা মামলার ভয় দেখানোর অভিযোগ এনে অধ্যাপক ড. নাজমা আফরোজকে বিভাগ থেকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন তারা।
শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবি গুলো হচ্ছে ১. ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকে রেজাল্ট ট্যাম্পারিং করা যাবে না। ২. শিক্ষকদের মধ্যে দলাদলি বা রেষারেষি বন্ধ করতে হবে। ৩. অধ্যাপক ড. নাজমা আফরোজ ও অধ্যাপক ড. মাহবুবা কানিজ কেয়াকে অব্যাহতি দিতে হবে। ৪. দলীয় প্রতিহিংসার শিকার অধ্যাপক ড. এনামুল হকের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে তা সঠিক তদন্তের মধ্য দিয়ে দুই কর্মদিবসের মধ্যে তাকে একাডেমিক কাজে ফিরিয়ে আনতে হবে। এ ছাড়া পরিচ্ছন্নতা কর্মী শ্রী রাম হেলাকে বিভাগে ফিরিয়ে আনতে হবে। ৫. বিভাগের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাকে এই লিখিত দিতে হবে যে উনারা বিভাগের সকল কার্যক্রম (ক্লাস, পরীক্ষা এবং রেজাল্ট) রুটিন মাফিক করবেন।
এক নারী ছাত্রী বলেন, ‘আমরা ডিপার্টমেন্টে এই অন্যায় অবিচারের বিচার চাই। প্রফেসর ড.নাজমা আফরোজ ও ড. মাহবুবা কানিজ কেয়ার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।’এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাজমা আফরোজ বলেন, ‘আমাকে ছাত্ররা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে, কেন করেছে এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমাকে কেউ এ বিষয়ে অবহিত করেনি।’এ বিষয়ে মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ড. মো. মজিবুল হক আজাদ খান বলেন, ‘ছাত্ররা তাদের যৌক্তিক দাবিতে বিভাগের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন। শুনেছি তারা বিভাগের দুজন শিক্ষককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে।