রোহিঙ্গা নেতা মাস্টার মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের সমন্বয়কারী ও হত্যাকারী এবং সন্ত্রাসী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসার) মোস্ট ওয়ান্টেড কিলার গ্রুপের প্রধান নুর কামাল ওরফে সমিউদ্দনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১৫। গত সোমবার (১৫ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

রোহিঙ্গা নেতা মাস্টার মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের সমন্বয়কারী ও হত্যাকারী এবং সন্ত্রাসী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসার) মোস্ট ওয়ান্টেড কিলার গ্রুপের প্রধান নুর কামাল ওরফে সমিউদ্দনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১৫। গত সোমবার (১৫ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‍্যাব-১৫ এর অধিনায়ক এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন। তিনি বলেন, র‍্যাব কতৃক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় র‍্যাব-১৫।

তিনি বলেন, কক্সবাজার উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে নেতা মাস্টার মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের সমন্বয়কারী ও হত্যাকারী এবং সন্ত্রাসী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসার) মোস্ট ওয়ান্টেড কিলার গ্রুপের প্রধান নুর কামাল ওরফে সমিউদ্দনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিষয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে। বিগত ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার লাম্বাশিয়া আশ্রয় শিবিরের ডি ব্লকের আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) সংগঠনের কার্যালয়ে বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হন মুহিবুল্লাহ। তিনি ওই সংগঠনের চেয়ারম্যান ছিলেন।

এর পরদিন ৩০সেপ্টেম্বর মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। তবে এ ঘটনায় এ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছেন। এদের মধ্যে কয়েকজন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছেন।

মামলাটির তদন্ত শেষে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) গাজী সালাহ উদ্দিন অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেন। সেখানে ২৯ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ জন বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। অপর ১৪ জন এখনো পলাতক। গ্রেপ্তার ১৫ জনের মধ্যে চারজন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এ হত্যাকাণ্ডে ৩৬ জনকে জড়িত হিসেবে শনাক্ত করা হলেও সাত জনের ঠিকানা শনাক্ত করতে না পারায় ২৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অভিযোগপত্রে ৩৮ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। যার মধ্যে তিনজন সাক্ষীও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।