শেরপুর সদর উপজেলা প্রতিনিধিশেরপুর এর ঝিনাইগাতীতে জোরপূর্বক দশ লক্ষ টাকার জমি দখল ও দস্যুতার ঘটনা ঘটে। শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার হাসলিগাঁও গ্রামে সৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকা কালীন সময়ে ঝিনাইগাতী উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়ন এর সাবেক ইউপি মেম্বার ও আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ নিজাম উদ্দিন ওরফে নিজাম ডাকাত (৩৫) স্থানীয় আজিলা বেগম (৫০) এর জমি জোরপূর্বক দখল কর নেয় এবং জোরপূর্বক জমি দখলের সময় নিজাম উদ্দিন কে বাধা দিলে সে আজিলা বেগম ও তার স্বামী সন্তানগণকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে, তার বসতঘর ভেঙে দেয় এবং বসতঘরে থাকা আসবাবপত্র লুটপাট করে।
এবং আজিলা বেগমের নামে থানায় মিথ্যা মামলা করে।নিরুপায় হয়ে আজিলা বেগম স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের দারস্থ হলে নিজাম উদ্দিন ঐসকল গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে টাকা দিয়ে নিজের আওতায় নিয়ে আসে এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা দিয়ে আজিলা বেগমের নামজারির কাজ স্থগিত করে দেয়। এরপর আজিলা বেগম কোন উপায় না পেয়ে নদীর পাড়ে চাং পেতে বসবাস শুরু করে তারপরও নিজাম উদ্দিন আজিলা বেগমের পরিবারের সদস্যদের উপর নানা ভাবে নির্যাতন চালায়।
অবশেষে সৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আজিলা বেগমের ছেলেরা শেরপুর সেনা ক্যাম্পে গিয়ে দায়িত্বরত সেনাকর্মকর্তার নিকট অভিযোগ করলে সেনাকর্মকর্তা স্থানীয় ছাত্র প্রতিনিধিদের তদন্তের ভার দেয়। ছাত্র প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তদন্ত শেষ করে উভয় পক্ষের কাগজ পত্র নিয়ে এসে পরলে নিজাম উদ্দিন আবারও নানা ভাবে আজিলা বেগমের পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেয়। এবং ছাত্র প্রতিনিধিদের ক্ষতি সাধন করার কথা বলে।
এই বিষয়ে ছাত্র প্রতিনিধির প্রধান বলেন আমরা গঠনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষের কথা শুনেছি এবং উভয় পক্ষের কাগজ পত্র নিয়ে এসে দলিল লেখকদের কে দেখানোর পর তারা আজিলা বেগমকেই প্রকৃত জমির মালিক বলেছেন এই ঘটনা নিজাম উদ্দিন যে কোন মাধ্যমে শুনার পর আজিলা বেগমের পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেয় এবং ছাত্র প্রতিনিধিদের নানা ভাবে ক্ষতি সাধন করার কথা বলে। ছাত্র প্রতিনিধিদের প্রধান আরো বলেন, আমরা নিজাম উদ্দিন এর নামে শেরপুরে দায়িত্বরত সেনাকর্মকর্তা ও ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট তার সকল অপকর্মের অভিযোগ দায়ের করবো।