ফরিদপুরের সদরপুরে স্বাস্থ্যসেবা বাদ দিয়ে প্রেমলীলায় ব্যস্তা হয়ে পরেছেন সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ গোলাম রাব্বানী এবং ডাঃ জুয়েলিয়া জাহান আঁচল।লোকমুখে শোনাযায়, হাসতালে দুজন একই কক্ষে রোগী দেখার সুবাদে এবং দুজনের বয়স কাছাকাছি হওয়ায় তাদের মধ্যে গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। সে সম্পর্ক ধীরে ধীরে গভীর হতে থাকে। তাদের মাঝে মাঝেই গভীর রাতে একটি ভ্যানে ঘুরতে দেখাযায় উপজেলার বিভিন্ন জায়গায়। তাদের প্রেম সম্পর্কে ছোট-বড় অনেকই এখন অবগত।জানাযায়, সরকার পতনের ৩দিন আগে উপজেলার পূর্ব শ্যামপুর গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা আঃ রব হাওলাদারের বাড়ির তৃতীয় তলায় ডাঃ আঁচলের একটি ভাড়াকরা বাসায় রাত্রীযাপন করতে যান ডাঃ গোলাম রাব্বানী। পরে এলাকাবাসী টের পেয়ে ভোর রাতে তাদের হাতেনাতে আটক করে। পরবর্তীতে ততকালীন ইউএনও সৈয়দ মুরাদ আলী এবং থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জনগনের গণধোলাই থেকে রক্ষা করতে থানার এসআই মামুনসহ আরো কয়েকজন সঙ্গীয়ফোর্স পাঠিয়ে ডাঃ গোলাম রাব্বানীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। সকালবেলা এ ঘটনা পুরো উপজেলায় রটিয়ে যায়। তাদের এমন কুকর্মের কারনে জনসাধারণের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রীয়ার সৃষ্টি হয়।ঘটনার বিষয়ে ডাঃ গোলাম রাব্বানীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আঁচল আমার ভালো বন্ধু। সে জ্বরে অসুস্থ ছিলো। বাসায় তাকে সেবা করার মতো কেও না থাকায় আমি গভীর রাতে তাকে সেবাযত্ন করতে যাই। পরে ভোর রাতে আঁচল একটু সুস্থ্য হলে আমি বাসা থেকে বের হতে গেলে এলাকার যুবকেরা আমাকে আটক করে ভিডিও ধারন করে। পরে আমি স্থানীয়দের তোপের মুখে পরে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে ফিরে আসিএ বিষয়ে ডাঃ আঁচলে সাথে কথা বলতে সদরপুর হাসপাতালে তার কক্ষে প্রবেশ করলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলবেন না বলে জানান। তবে পরবর্তীতে তিনি স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতাকে ধরে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।পরবর্তীতে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ওমর ফয়সল। তিনি বলেন, ঘটনাটি আমি লোকমুখে শুনেছি। এটা আমার হাসপাতাল এরিয়ায় ঘটেনি। এটা আমার এরিয়ার বাহিরে ঘটছে। তবে এ বিষয়ে ডাঃ আঁচল ও ডাঃ রাব্বানী আমাকে কোন কিছু অবগত করেনি। তাই বিষটা তাদের একান্ত ব্যাপার বলে আমি মনে করি। যদি এ বিষয়ে আমার কাছে কেও অভিযোগ করে তবে আমি বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা নিবো।
এলাকাবাসী জানান, আমরা মাঝে মাঝেই ডাঃ রাব্বানী এবং ডাঃ আঁচলেকে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গিতে ঘুরতে দেখি। হাসপাতালে তাদেরকে কক্ষে আমরা সেবা নিতে গেলে দিখি তারা সেবা দেওয়ার চেয়ে ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় বেশি ব্যস্ত থাকতেন। মাঝে মাঝেই রাতে সময় অসময় ডাঃ আঁচলের বাসা থেকে বের হতেন ডাঃ রাব্বানী। টিএসও ঘটনাটি ফরিদপুর সিভিল সার্জনে অবগত করলে তাতক্ষণিকভাবে ডাঃ গোলাম রাব্বানীকে ফরিদপুর সদর হাসপাতালে ডেপুটেশনে পাঠানো হয়৷ ডেপুটেশনে কিছুদিন সদর হাসপাতালে থাকলেও পরিস্থিতি কুছুটা স্বাভাবিক হলে তিনি পুনরায় ডেপুটেশন ক্যানসেল করে ফিরে আসেন সদরপুর হাসপাতালে। আবার শুরু করেন প্রেমলীলী৷ এলাকাবাসী এবং গণমাধ্যম কর্মীরা আবার এ ঘটনাটি নিয়ে সোচ্চার হলে গত মঙ্গলবার ডাঃ আঁচলকে ফরিদপুর সদর হাসপাতালে ডেপুটেশনে পাঠানো হয়েছে। তিনি গত বুধবার সদর হাসপাতালে যোগাযোগ করেন।এখন সুশীল সমাজ ডাঃ গোলাম রাব্বানীকে সদরপুর হাসপাতাল থেকে অপসারণ দাবি জানিয়েছেন এবং তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কতৃপক্ষের নিকট দাবি জানিয়েছেন।