সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটসংলগ্ন বাংলাদেশ ব্যাংকের গেটের পাশে এ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল আউয়াল ও মাহামুদুল হাসানের অনুসারীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সভাশেষে চেয়ারে বসার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে হঠাৎ দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় রবিউল আউয়ালের গ্রুপের কয়েকজন জুনিয়র সদস্য মাহমুদুল হাসানের কলার ধরে ধাক্কা দেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে মাহমুদুলের অনুসারীরাও দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। যদিও উত্তেজনা বেশি সময় স্থায়ী হয়নি।
দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম এ ঘটনার বিষয়ে বলেন, “ক্যাম্পাসে এমন সামান্য বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি বা গালিগালাজ করা কখনোই কাম্য নয়।”
ঘটনার বিষয়ে যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান বলেন, “আমাকে মারধরের অভিযোগ সত্য নয়। ছোট ভাইদের সঙ্গে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, যা হিমেল ভাই ও আরেফিন ভাই সমাধান করে দিয়েছেন।”
আরেক গ্রুপের যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল আউয়াল বলেন, “আমি তখন খেতে গিয়েছিলাম। আমার কিছু জুনিয়র হয়তো উত্তেজনায় হাত তুলেছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। ও যেহেতু আমার ছোট ভাই, আমি কি ওকে মারতে পারি? আমরা নিজেদের মধ্যে বিষয়টি মিটিয়ে নিচ্ছি।”
এ নিয়ে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, “এটি বড় কোনো ঘটনা নয়। সামান্য ধাক্কাধাক্কি হয়েছে, আমরা বসে সমাধান করেছি। শিক্ষার্থী বান্ধব ক্যাম্পাসে এ ধরনের ঘটনা অবশ্যই কাম্য নয়, তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।”