ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক আইমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল এবং বিজিবির সাবেক অধিনায়ক এরশাদসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জেলার আখাউড়া উপজেলায় ২০১৪ সালের ২৩ মার্চ উপজেলা পরিষদের ভোট চলাকালে একটি ভোট কেন্দ্রে গুলিতে আবদুল হাদিস নামে এক ব্যক্তির নিহতের ঘটনায় রোববার এই মামলাটি দায়ের করা হয়। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন আহমেদ এজাহারটি মামলা হিসেবে নথিভুক্তের জন্য আখাউড়ার থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আখাউড়া পৌরসভার কাউন্সিলর ও পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি বাহার মিয়া বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন। নিহত আবদুল হাদিস বাহারের আপন ছোট ভাই। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ১০০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়।মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন আখাউড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাশেম ভূইয়া, তাকজিল খলিফা কাজলের আপন ভাই সি অ্যান্ড এফ সাধারণ সম্পাদক ফুরকান খলিফা, আখাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক নেতা জাহাঙ্গীর মিয়া, উপজেলার তারাগনের জুয়েল খান, নাহিদ খান ও উপজেলা শ্রমিক লীগ নেতা নাছির মিয়া।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৩ মার্চ আখাউড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় আবুল কাশেম আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। নিহত হাদিস মিয়া ভোট কেন্দ্রের প্রায় ৩০০ গজ দূরে অবস্থান করছিলেন। ভোট কেন্দ্রের কাছাকাছি বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের অবস্থানের বিষয়টি মামলার আসামিরা সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক পৌর মেয়র তাকজিল খলিফাকে মোবাইল ফোনে জানান। আনিসুল হক ও কাজল সে সময় নিহত হাদিসসহ অন্যদের দেখামাত্রই গুলি করার জন্য বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ককে নির্দেশ দেন। বিজিবির তৎকালীন অধিনায়ক ঘটনাস্থলে পৌঁছে একটি রাইফেল নিয়ে গুলি করেন।
বুকের ডান পাশে একটি গুলিবিদ্ধ হলে হাদিছ ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাদিছকে মৃত ঘোষণা করেন।মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী নুরুজ্জামান লস্কর বলেন, দ্রুত বিচার ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ধারাসহ হত্যার অভিযোগে এই এজাহার দায়ের করা হয়। আদালত এজাহারটি মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করার জন্য আখাউড়ার থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।