ফেনীতে সোনা পাচারের একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা উদঘাটন করেছে পুলিশ। অ

ফেনীতে সোনা পাচারের একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা উদঘাটন করেছে পুলিশ। অভিনব কৌশলে স্যান্ডেলের সোলের মধ্যে স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ১০টি সোনার বার পাচারের সময় একজন পাচারকারীকে আটক করা হয়। সোনার বারগুলোর মোট ওজন ১ কেজি ১৬৬ গ্রাম এবং এর বাজারমূল্য আনুমানিক ১ কোটি ২০ লাখ টাকা।রোববার (১৭ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের খাইয়ারা বাজার এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা তিশা প্লাটিনাম বাসে কুমিল্লার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন সন্দেহভাজন পাচারকারী দ্বিজেন ধর (৩৯)। পুলিশের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহাসড়কে বাসটি থামানো হয় এবং তল্লাশি চালানো হয়।তল্লাশির সময় দ্বিজেন ধরের পায়ের স্যান্ডেল সন্দেহজনক মনে হয়। পরে সেগুলো পরীক্ষা করে দেখা যায়, স্যান্ডেলের সোলের মধ্যে বিশেষভাবে লুকানো অবস্থায় ১০টি সোনার বার রাখা হয়েছে। স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো এসব সোনা স্যান্ডেলের সোলের ভেতর সুরক্ষিত অবস্থায় পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল।দ্বিজেন ধর চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার সুধাংশু ধরের ছেলে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন যে, চট্টগ্রামের হাজারী লেন এলাকা থেকে কুমিল্লায় সোনা পাচার করছিলেন। এছাড়াও তিনি স্বীকার করেন যে, এর আগেও একই কৌশলে সোনা পাচার করেছেন।ফেনীর পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, মাদকের চোরাচালান হচ্ছে এমন একটি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ এই অভিযান পরিচালনা করে। তবে মাদক না পাওয়া গেলেও অভিনব কৌশলে সোনা পাচারের এই ঘটনা ধরা পড়ে।তিনি আরও বলেন, "এই ধরনের অপরাধ রোধে আমরা সবসময় তৎপর রয়েছি। পাচারকারীদের নতুন কৌশলগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমাদের বিশেষ প্রশিক্ষিত টিম কাজ করছে।সংবাদ সম্মেলনে ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দ্বীন মোহাম্মদ, ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা এবং বোগদাদিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।সোনার এই বারগুলোর ওজন ১ কেজি ১৬৬ গ্রাম। বর্তমান বাজারমূল্যে এর দাম প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। সোনার বারগুলো যাচাই করার জন্য পরে সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠানো হবে।আটককৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। সোনা পাচারের এই ঘটনা আরও তদন্ত করে দেখা হবে, এবং এর সঙ্গে জড়িত অন্য ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।এই ধরনের ঘটনা সোনা পাচারের নতুন কৌশল সম্পর্কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকার ইঙ্গিত দেয়। পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপ এবং সফল অভিযানের কারণে একটি বড় ধরনের পাচার রোধ করা সম্ভব হয়েছে।