সংবাদ সম্মেলনে মৎস্যজীবীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কুমিরাদহ বিলের ইজারাদার মো. আলফাজ উদ্দিন৷ এসময় তিনি বলেন, নিয়ম মাফিক চৌধুরী ইসমাইল সাজ্জাদ জোয়াদ ওয়াকফ এস্টেটের মোতাওয়াল্লী ও সাবেক এমপি জারা জাবীন মাহবুবের বাবা কাইয়ুম রেজা চৌধুরীর নিকট কাছ থেকে কুমিরাদহ বিল ইজারা নেয়। কিন্তু এমপি জারা তার লোকজনের মাধ্যমে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাবেক সহকারী প্রেস সচিব কাইয়ুম রেজা চৌধুরী এবং তার মেয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জারা জাবীন মাহবুবের বিরুদ্ধে বিল দখল, চাঁদাবাজি, অর্থ আত্মসাৎ, লুটপাট ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ করেছেন মৎস্যজীবীরা৷ শনিবার দুপুরে জেলা শহরের বিশ্বরোড় মোড়ের একটি অফিসে কমিরাদহ বিলের ৫০০ মৎস্যজীবী পরিবারের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন মৎস্যজীবীরা।

সংবাদ সম্মেলনে মৎস্যজীবীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কুমিরাদহ বিলের ইজারাদার মো. আলফাজ উদ্দিন৷ এসময় তিনি বলেন, নিয়ম মাফিক চৌধুরী ইসমাইল সাজ্জাদ জোয়াদ ওয়াকফ এস্টেটের মোতাওয়াল্লী ও সাবেক এমপি জারা জাবীন মাহবুবের বাবা কাইয়ুম রেজা চৌধুরীর নিকট কাছ থেকে কুমিরাদহ বিল ইজারা নেয়। কিন্তু এমপি জারা তার লোকজনের মাধ্যমে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।

চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে এমপি নিজে উপস্থিত থেকে বিলের ধারে থাকা মাছের খাবার ও বিভিন্ন সরঞ্জাম লুটপাট করেছে৷ মৎস্যজীবীরা আরও বলেন, একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে সাবেক এমপি জারা৷ এমনকি মাদক মামলা দিয়ে ও যৌথ বাহিনীর মাধ্যমে আটকের হুমকি দিয়ে বিল দখলের পায়তারা করছে আ.লীগ নেতা কাইয়ুম রেজা চৌধুরী ও তার লোকজন। এছাড়াও বিলের বাঁধ ভেঙে মাছ লুটপাট করার চেষ্টা করছে তারা।

এনিয়ে প্রায় ৫০০ মৎস্যজীবী পরিবার বিনিয়োগ করা আড়াই কোটি টাকা হারানোর আশঙ্কায় রয়েছে। এমনি বিভিন্ন হুমকি-ধামকিতে বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে মৎস্যজীবীরা।তবে সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন, শেখ মুজিবুর রহমানের সাবেক সহকারী প্রেস সচিব ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাইয়ুম রেজা চৌধুরী। তিনি জানান, বিলটির মোতাওয়াল্লী আমি নিজেই। এটি আমাদের সম্পত্তি। কিন্তু আমার সাবেক ম্যানেজার আলফাজ উদ্দিন জোরপূর্বক দখল করে মাছ আহরণ করছে।