চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোরক্ষনাথপুরে বিয়ের দাবিতে তৃতীয়বারের মতো অনশন করেছেন এক নারী। প্রথম দুইবারে বিয়ের দাবিতে অনশনে এসে ব্যর্থ হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে তৃতীয়বার অনশনে যায় ওই নারী। সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের গোরক্ষনাথপুর গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে আইয়ুব আলীকে বিয়ের দাবিতে অনশনে যায় শিবগঞ্জ উপজেলার সেলিনাবাদ গ্রামের ওই তরুণী। এদিকে, তার অনশনে আসার খবরে বাড়িতে তালা মেরে পালিয়েছে আইয়ুবসহ তার পরিবারের সদস্যরা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোরক্ষনাথপুরে বিয়ের দাবিতে তৃতীয়বারের মতো অনশন করেছেন এক নারী। প্রথম দুইবারে বিয়ের দাবিতে অনশনে এসে ব্যর্থ হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে তৃতীয়বার অনশনে যায় ওই নারী। সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের গোরক্ষনাথপুর গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে আইয়ুব আলীকে বিয়ের দাবিতে অনশনে যায় শিবগঞ্জ উপজেলার সেলিনাবাদ গ্রামের ওই তরুণী। এদিকে, তার অনশনে আসার খবরে বাড়িতে তালা মেরে পালিয়েছে আইয়ুবসহ তার পরিবারের সদস্যরা।

জানা যায়, আইয়ুব আলীর সাথে দুই বছরের প্রেমের সম্পর্ক এই তরুণীর। তার অভিযোগ, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছে তারা। এমনকি আইয়ুবের বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে স্বামীর সাথে ডিভোর্স করেছে ওই নারী। এরপর বিয়ের জন্য চাপ দিলে অস্বীকৃতি জানায় আইয়ুব। বাধ্য হয়েই ১৫ দিন আগে বিয়ে দাবিতে অনশনে যায় সে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আইয়ুবের পরিবারের সদস্যদের বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে ফিরে যায় বাসায়।

পরবর্তীতে যোগাযোগ বন্ধ করায় আবার গত ০১ মে রাতে বিয়ের দাবি নিয়ে অনশনে যায় ওই তরুণী। তিন দিন আইয়ুবের বাড়িতেই অবস্থান করে। পরবর্তী খবর পেয়ে তাকে উদ্বার করে থানায় নিয়ে যাওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে তিন দিন চিকিৎসা নেয়ার পর সুস্থ হয়ে আবারও বিয়ের দাবি নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে অনশনে যায় তরুণী। তার আসার খবরে বাড়িতে তালা দিয়ে পালিয়ে যায় আইয়ুব ও তার বাড়ির লোকজন।

তরুণীর দাবি, আগামী তিন দিনের মধ্যে আইয়ুব ও তার বাড়ির লোকজন বাসায় ফিরে না আসলে সেখানেই গলায় ফাঁস বা গায়ে আগুন দিয়ে নিজেকে শেষ করে দিবেন।

স্থানীয়রা বলছেন, অনশনে আসার পর বারবার বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাসায় ফেরত পাঠালেও এবার নিজেরাই বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে আইয়ুবের পরিবারের সদস্যরা।

বিয়েতে রাজি না হওয়ায় তালা দিয়ে পালিয়েছে বলে জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। এদিকে, থানায় অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মিন্টু রহমান।