চড়া দামের বিষয়ে একাধিক খামারি ও বিক্রেতার সাথে আলাপকালে জানা যায়, গত বছরের তুলনায় এবছরে পশু খাদ্যের দাম দিগুন পরিমানে বৃদ্ধি পেয়েছে।

আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে জমতে শুরু করেছে দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার পশুর হাট গুলো। কোরবানি উপলক্ষে এবারে উপজেলায় স্থায়ী এবং অস্থায়ী মিলে ১৭টি হাটে চলছে পশু বেচাকেনা। উপজেলার অন্যতম সরকার হাট পশু বাজার এবং রুস্তম হাট পশু বাজরে গত শুক্রবার প্রচুর পরিমানে কোরবানির পশুর সমাগম ঘটলেও হয়নি কাঙ্ক্ষিত বেচাকেনা। তবে গতকান সোমবারের শেষ বাজারে বাজার দু'টিতে বেচাকেনার ধুম পড়বে বলে আশা করেন বাজার ইজারার সাথে সংশ্লিটরা। গত শনিবারের নির্ধারিত হাটে চাতরী চৌমুহনী বাজারেও তেমন বেচাকেনা না হলেও মঙ্গলবারের শেষ বাজারে সেখানেও বেচাকেনা দারুন হবে বলে আশা করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

এছাড়াও উপজেলার বাকি ছোট ছোট বাজার গুলোতেও সপ্তাহিক নির্ধারিত বাকি বাজারের দিনে আশানুরূপ বেচাকেনা হবে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা। এদিকে কোরবানির পশুর সরবরাহ প্রচুর থাকলেও দাম একটু চড়া বলে মন্তব্য করছেন অনেকেই। চড়া দামের বিষয়ে একাধিক খামারি ও বিক্রেতার সাথে আলাপকালে জানা যায়, গত বছরের তুলনায় এবছরে পশু খাদ্যের দাম দিগুন পরিমানে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পশু মোটাতাজা করনে খরচ বেড়েছে অনেক। তাই দাম একটু বেশী বলে মনে হচ্ছে। কোরবানি উপলক্ষে আনোয়ারায় বিভিন্ন খামারে ছোট বড় গরু,মহিষ ও ছাগল মিলে ৬০ হাজারেরও বেশী গবাদি পশু প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিস। যা উপজেলার বিভিন্ন বাজার ছাড়াও চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হবে।