স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের কৃষক একই বাড়ীর দুই চাচাতো ভাই মিরন মৃধা ও হেলাল মৃধা হঠাৎ আকাশে মেঘ করে বজ্রবৃষ্টি শুরু হতে দেখে তাদের পালিত গরুগুলো গোয়াল ঘরের মধ্যে বেঁধে রাখে। দুপুরে হঠাৎ বিকট শব্দে গোয়াল ঘরের পাশে থাকা একটি চাম্ভুল গাছের উপড় বজ্রপাত পড়ে। এতে গোয়াল ঘরে থাকা মিরন মৃধার ২টি ও হেলাল মৃধার ১টি মোট ৩টি গরু ঘটনাস্থলেই মারা যায় এবং গোয়াল ঘরে থাকা আরো ৩টি গরু আহত হয়। বৃষ্টি শেষে গরুর মালিকরা গোয়াল ঘরে গিয়ে গরু তিনটিকে মৃত অবস্থায় দেখতে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে বিলাপ করতে থাকেন।

বরগুনার আমতলীতে বজ্রপাতে দুই কৃষকের তিনটি গরুর মৃত্যু হয়েছে। এতে আরো আহত হয়েছে তিনটি গরু।আজ বৃহস্পতিবার (২০জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের কৃষক একই বাড়ীর দুই চাচাতো ভাই মিরন মৃধা ও হেলাল মৃধা হঠাৎ আকাশে মেঘ করে বজ্রবৃষ্টি শুরু হতে দেখে তাদের পালিত গরুগুলো গোয়াল ঘরের মধ্যে বেঁধে রাখে। দুপুরে হঠাৎ বিকট শব্দে গোয়াল ঘরের পাশে থাকা একটি চাম্ভুল গাছের উপড় বজ্রপাত পড়ে। এতে গোয়াল ঘরে থাকা মিরন মৃধার ২টি ও হেলাল মৃধার ১টি মোট ৩টি গরু ঘটনাস্থলেই মারা যায় এবং গোয়াল ঘরে থাকা আরো ৩টি গরু আহত হয়। বৃষ্টি শেষে গরুর মালিকরা গোয়াল ঘরে গিয়ে গরু তিনটিকে মৃত অবস্থায় দেখতে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে বিলাপ করতে থাকেন। 

স্থানীয় বাসিন্দা শাহিন হাওলাদার বলেন, বজ্রপাতে ৩টি গরুর মৃত্যুর ঘটনায় দরিদ্র ওই কৃষক দুই ভাইয়ের বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে গেল। গরু ৩টির আনুমানিক বাজারমূল্য ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাতা হতে পারে। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ওই দুই ভাইয়ের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানান। 

নিহত গরুর মালিক মিরন মৃধা কান্না কণ্ঠে বলেন, আমার সব শেষ হয়ে গেছে। গরু নাই সামনের দিনগুলোতে আমি কিভাবে জমিতে হালচাষ করবো।

হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক বলেন, বজ্রপাতে দুই কৃষকের তিনটি গরুর মৃত্যু সংবাদ শুনেছি। ওই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।