নেপালে হাসপাতালে গিয়ে ‘জেন জি’ আন্দোলনে আহতদের খোঁজখবর নিয়েছেন সদ্য দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) মিনভবানস্থ সিভিল সার্ভিস হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।

হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর ডা. মোহন চন্দ্র রেগমি জানিয়েছেন, এসময় চিকিৎসাধীন আহতরা সরাসরি প্রধানমন্ত্রী কার্কির সঙ্গে কথা বলেন। তারা নিজেদের শারীরিক অবস্থা জানান এবং প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন যেন তাদের ত্যাগ বৃথা না যায়।

‘তারা প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, দেশকে এমন সমাধানের দিকে এগিয়ে নিতে হবে যাতে আগামী প্রজন্মকে আর রাস্তায় নামতে না হয়,’ বলেন ডা. রেগমি।

প্রধানমন্ত্রী কার্কি এ সময় আহতদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, তিনি দেশের পরিবর্তনের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন।

হাসপাতালের হিসাবে, গত সোমবার থেকে এ পর্যন্ত মোট ৪৫৭ জন আহতকে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৪৪ জনকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে, আর ৩৬৪ জন চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র পেয়েছেন। ৪৯ জন এখনো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, যাদের মধ্যে একজনকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।

দুর্নীতি, সরকারবিরোধী নিপীড়ন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে গত সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর)র রাস্তায় নেমে আসে নেপালের তরুণ সমাজ। কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনী জলকামান, টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট এবং গুলি ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায়। বিভিন্ন শহরে জারি করা হয় কারফিউ।

তবে আন্দোলনকারীরা দমে না গিয়ে মঙ্গলবারও বিক্ষোভ চালিয়ে যান। চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। এদিন বিভিন্ন নেতার বাড়ি ও সরকারি ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষোভকারীরা।

নেপালের সহিংসতায় এ পর্যন্ত অন্তত ৫১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।