জাকসু নির্বাচনে শিবির সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল থেকে অংশ নেওয়া দম্পতি হাফেজ তারিকুল ইসলাম ও নিগার সুলতানা জয়ী হয়েছেন।

তারিকুল ইসলাম কার্যকরী সদস্য ও নিগার সুলতানা সহ-সমাজসেবা ও মানবসেবা উন্নয়ন সম্পাদক (ছাত্রী) পদে জয়লাভ করেছেন।

হাফেজ তারিকুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের (সেশন ২০১৯-২০) মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। তিনি বর্তমান জাবি শাখা শিবিরের সমাজসেবা সম্পাদক। তার স্ত্রী নিগার সুলতানা ফার্মেসি বিভাগের ৫০তম ব্যাচের (সেশন ২০২০-২১) চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি কোরআন অ্যান্ড কালচারাল স্টাডি ক্লাবের কো-হেড হিসেবে বর্তমানে কর্তব্যরত।

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে জাকসু নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন প্যানেলের আবদুর রশিদ জিতু। আর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) নির্বাচিত হয়েছেন শিবির-সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের মাজহারুল ইসলাম।

ফলাফলে দেখা যায়, ২৫টি পদের মধ্যে ২০টিতেই জয় পেয়েছে শিবির-সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট। বাকি চারটির মধ্যে দুটি বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) ও দুটি স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে জাকসু নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ওইদিন ভোট গণনা শুরু হয় রাত সোয়া ১০টায়।

তবে বিভিন্ন অসঙ্গতির অভিযোগ এনে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ঘণ্টাখানেক আগে নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেয় ছাত্রদল। পরে আরও তিনটি প্যানেল ও স্বতন্ত্র পাঁচ প্রার্থী নির্বাচন বয়কট করেন।

নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকা ও নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে একজন নির্বাচন কমিশনারসহ বিএনপিপন্থি চার শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন।

জাকসুতে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ৮৯৭। এর মধ্যে ছাত্র ছয় হাজার ১১৫ এবং ছাত্রী পাঁচ হাজার ৭২৮ জন। এর প্রায় ৬৭-৬৮ শতাংশ ভোট পড়েছে।