দীর্ঘদিন আহ্বায়ক কমিটি থাকার পর অবশেষে হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলা ছাত্রদলের কমিটি। ইতিমধ্যেই পদপ্রার্থীরা দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছে। বিগত সরকারের সময় বিভিন্নভাবে হয়রানি, গুম ও অত্যাচারিত নেতাকর্মীরা এবার শীর্ষ পদ প্রত্যাশা করছে। যেকোন সময় ঘোষণা হতে পারে আড়াইহাজার উপজেলা ছাত্রদলের নতুন কমিটি। উপজেলা ছাত্রদলের শীর্ষ দুই পদের জন্য নেতাদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। কেন্দ্র থেকে যেকোন সময় আড়াইহাজার উপজেলা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করা হবে। সভাপতি পদের জন্য সবচেয়ে এগিয়ে আছে অতীতে আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রণী ভুমিকা পালন করা, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক। বিগত স্বৈরাচার সরকারের আমলে সে মিথ্যা রাজনৈতিক মামলায় জেল খেটেছে বহুবার। রফিক বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের অনুসারী। অন্যদিকে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক সদস্য রতন আহমেদও সভাপতি প্রার্থী। সে বিএনপির সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমনের অনুসারী। রতনও বিগত দিনে আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছিলো। অতীতে সকল আন্দোলনে রতনকে সামনের সারিতে দেখা গেছে বলে জানা যায়। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে বিগত দিনে সামনের কাতারে ছিলেন আড়াইহাজার উপজেলা ছাত্রদলের আরেক ছাত্রদল নেতা ও সাবেক যুগ্ম আহবায়ক নবী হোসাইন। নবী হোসাইন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ঢাকা বিভাগ নজরুল ইসলাম আজাদের অনুসারী। বিগত দিনে আন্দোলন করতে গিয়ে ছাত্রলীগ কর্তৃক হামলার শিকার হয় এবং মিথ্যা রাজনৈতিক মামলায় আসামি হয়ে দিনের পর দিন আদালতে হাজির হতে যেতে হয়েছে। নবী হোসাইন আড়াইহাজার উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য দৌড়ঝাঁপ চালিয়ে যাচ্ছে বলে শুনা যাচ্ছে। দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সমর্থন রয়েছে তার প্রতি বেশি। তৃণমূল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বলছেন, " বিগত আওয়ামী শাসনামলে যারা সম্মুখে থেকে জীবনবাজি রেখে আন্দোলন, সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছে, তাদের যেন দল মূল্যায়ন করে। সেইসাথে যারা ছাত্র জনতার সমর্থনে রয়েছে তাদের যেন অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। "সভাপতি প্রার্থী রফিকুল ইসলাম বলেন, " বিগত ১৭ বছর আওয়ামী সরকারের সময়ে মিথ্যা বানোয়াট মামলার আসামি হয়েছি। অত্যারিত, নিপীড়িত হয়েছি। জেল খেটেছি বহুবার। দলের জন্য সবসময় পাশে আছি, থাকবো। দল যেন এই ত্যাগের মূল্যায়ন করে।" সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নবী হোসাইন বলেন, " আওয়ামী সরকারের আমলে ঘরে থাকতে পারতাম না। পুলিশ দিয়ে হয়রানি করা হতো। মিথ্যা মামলার জন্য আদালতে দৌড়াতে হয়েছে সতেরোটি বছর। দলের জন্য বহু ত্যাগ স্বীকার করেছি। তারপরও দল যাকে যোগ্য মনে করবেন, সেই যোগ্য নেতৃত্ব মেনে নিব।" ছাত্রদলের তৃণমুল নেতাকর্মীরা চায় অতীতে যারা রাজপথে ছিলো তাদেরকে যেন দল মূল্যায়ন করে। তাদের পাশাপাশি সভাপতি পদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে রাসেল মোল্লা। যদিও রাসেল মোল্লাকে বিগত আন্দোলনের সময় নজরুল ইসলাম আজাদের সাথে কোন মিটিং মিছিলে পাওয়া যাইনি। সূত্র বলছে, বিগত কমিটিতে সে বিদেশে থেকে পদ বাগিয়ে নেয়। ৫ই আগষ্ট সরকার পতন হলে সে বিদেশ থেকে দেশে আসে। এছাড়াও সভাপতি পদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে ছাত্রদলের আরও দুই সাবেক যুগ্ম আহবায়ক রাসেল মিয়া ও হাসিবুল রহমান শান্ত। হাসিবুল রহমান শান্ত একসময় আড়াইহাজার উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক জুবায়ের রহমান জিকুর অনুসারী ছিলো। জানা যায়, শান্তও একাধিক মিথ্যা রাজনৈতিক মামলায় কারাবরণ করে। সে প্রথম থেকেই মাহমুদুর রহমান সুমনের অনুসারী। তারা উভয়ে আড়াইহাজার উপজেলা ছাত্রদলের শীর্ষ পদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।