পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে আওয়ামীলীগের এক সক্রিয় কর্মী বাবুল বেপারী বিস্ফোরক মামলায় জামিন পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মো: শরিফ বিল্লাহ'র কাছে চাঁদা দাবি করে ও তার জমি দখলের হুমকি প্রদানের অভিযোগ উঠেছে।

বাবুল বেপারী উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের পশ্চিম চরবলেশ্বর গ্রামের মোক্তার আলী বেপারীর ছেলে। ভুক্তভোগী শরিফ বিল্লাহ একই গ্রামের মৃত তোফায়েল আহমেদ এর ছেলে। বিষয়টি আজ রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) নিশ্চিত করেছেন ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মারুফ হোসেন।

জানা গেছে, উপজেলা বিএনপির ততকালীন সহ সভাপতি আবুল কালাম সিকদার এর বাড়ীতে ভাংচুর, লুটপাট ও ককটেল বোমা বিস্ফোরণ ঘটনায় অভিযুক্ত শতাধিক আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে বাবুল বেপারী এবং তার ভাই অহিদুল বেপারীর নামেও গত বছরের (৬ সেপ্টেম্বর) ইন্দুরকানী থানায় একটি বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়।

এ মামলায় বাবুল বেপারী আটক হয়ে দীর্ঘদিন ধরে কারাভোগের পর চলতি বছরের (২৮ আগস্ট) হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে (৩১ আগস্ট) বিকালে ভুক্তভোগী শরিফ বিল্লাহ জমিতে চাষাবাদের জন্য গেলে অভিযুক্ত বাবুলসহ ৫-৬ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগীর কাছে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে তার জমি দখলের হুমকি প্রদান করে।

ভুক্তভোগী শরিফ বিল্লাহ বলেন, আমি আমার জমিতে চাষাবাদের জন্য গেলে বাবুল, তার ছেলে এবং তার পিতাসহ আরও ৪/৫ জন দা ও কাচিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার কাছে মোটা অংকের অর্থ দাবি করে। টাকা না দিলে জমিতে চাষাবাদ করতে দিবে না, উল্টো জমি দখল করবে বলে আমাকে হুমকি দেয়।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বাবুল বেপারী অস্বীকার করে জানান, আমি যদি চাঁদা দাবি করি তাহলে যে বিচার হবে আমি তা মাথা পেতে নিব। জমি আমি যদি পাই তাহলে আমাকে দিবে, না পেলে নিব না। আমার নামে মামলা থাকায় ওরা আরও আমাকে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ায় সহযোগিতা করে।
"মোস্তফা বাঘাকে আমি কোপাইনি, জমি নিয়ে বিরোধের কারণে আমার ভাই অহিদুল ও বাবা মোক্তার আলী বেপারী তাকে কোপাইছে। "


চন্ডিপুর (ইউপি) চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মঞ্জু বলেন, আমি এ বিষয়ে জানিনা। বাবুল তো লোক সুবিধার না। অভিযোগ পেলে আমাদের নিয়ম অনুযায়ী ব্যাবস্থা নিব।

ওসি মো: মারুফ হোসেন বলেন, এবিষয় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রসংগত; এর আগে ওই আওয়ামীলীগ কর্মী বাবুল বেপারী ২ হাজার ২২ সালের (১৮ এপ্রিল) ইন্দুরকানী থানায় একটি ধর্ষণ মামলায় ২ নম্বর আসামি হিসেবে কারাভোগ করেছেন। এছাড়াও গত বছরের (১৩ ফেব্রুয়ারী) একই থানায় মোস্তফা বাঘাকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় একটি মামলা হয়। সে মামলায় বাবুলের পিতা মোক্তার আলী বেপারী, তার ভাই অহিদুল বেপারী ও হাফিজুল বেপারী আসামি হিসেবে কারাভোগ করে।