সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন ও লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন উক্ত অনুষদের ৮টি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। অনুষ্ঠানের মূলপর্বে প্রতিটি বিভাগ থেকে একজন শিক্ষার্থীকে বিভাগীয় সমস্যা উপস্থাপনের জন্য আহ্বান করা হয়। পর্যায়ক্রমে ৮টি বিভাগ থেকে সমস্যা ও সংস্কার প্রস্তাবনা পেশ করা হয়। সার্বিক উন্নতির লক্ষ্যে পেশ করা প্রস্তাবগুলোতে শিক্ষার্থীরা অকুণ্ঠ সমর্থন প্রদর্শন করে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত সকল বিভাগের সভাপতি, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ এক মতবিনিময় সভায় যোগদান করেন। আজ ২রা অক্টোবর (বুধবার) সকাল ১১টায় মীর মশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনের ২০৪ নং কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন ও লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন উক্ত অনুষদের ৮টি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। অনুষ্ঠানের মূলপর্বে প্রতিটি বিভাগ থেকে একজন শিক্ষার্থীকে বিভাগীয় সমস্যা উপস্থাপনের জন্য আহ্বান করা হয়। পর্যায়ক্রমে ৮টি বিভাগ থেকে সমস্যা ও সংস্কার প্রস্তাবনা পেশ করা হয়। সার্বিক উন্নতির লক্ষ্যে পেশ করা প্রস্তাবগুলোতে শিক্ষার্থীরা অকুণ্ঠ সমর্থন প্রদর্শন করে।

শিক্ষার্থীদের প্রস্তাবনার প্রেক্ষিতে বিভাগীয় প্রধানগণ তাদের মতামতও প্রকাশ করেন। তাদের বক্তব্যে উঠে আসে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক ও সময়োপযোগী প্রতিটি দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন। স্বৈরশাসকের কারণে দীর্ঘ ১৫ বছর সকলের বাকস্বাধীনতা রহিত ছিল। শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে উত্তরণের পথ দেখিয়েছে। তাদের রক্তের বিনিময়েই আজকের নতুন বাংলাদেশের আবির্ভাব। সংস্কারের দায়িত্ব কারো একার পক্ষে পালন করা সম্ভব নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক সংস্কারে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী সকলকে নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করতে হবে। উন্নত শিক্ষা ও ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে শিক্ষকবৃন্দের পক্ষ হতেও কিছু দাবি উপস্থাপিত হয়।

ইবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “আজকের এই নতুন বাংলাদেশ শিক্ষার্থীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত। এখনো অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা আন্দোলনকালীন সময়ে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছে। অনেকের অঙ্গহানি হয়েছে। তাদের এ ত্যাগকে বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না। তোমরা কখনো নিজ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কারিকুলাম অনুসরণ করা হয়, তারা যে শিক্ষকদের থেকে  শিক্ষা লাভ করে সেই মানদন্ড ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রতিষ্ঠিত হবে। আমি সাধারণভাবে শিক্ষর্থীদের কাছে পরিচিত হতে চাই। তাদের কথা বলার অধিকার আছে, তাদের কথা শুনতে চাই।”

এছাড়া তিনি আরও জানান, উন্নত বিশ্বের আদলে বিশেষ ক্লাস কনসাল্টেসন ও শিক্ষকদের মান যাচাইয়ে গোপন মূল্যায়ন ব্যবস্থা চালু করা হবে। শিক্ষা ও গবেষণায় উন্নতির লক্ষ্যে প্রতিটি বিভাগে যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক ও ল্যাব স্থাপন করা হবে। সেশনজট নিরসনে সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রতিদিন রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে এবং ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীদের জন্য সেসময় পরিবহনের ব্যবস্থাও থাকবে। গবেষণা কাজের গুরুত্ব বাড়াতে শিক্ষকদের গবেষণাগুলো অফিসিয়াল ওয়েবপেজে প্রকাশ করা হবে।

অনুষ্ঠান শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রক্টর ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান শিক্ষার্থীদের সাথে আলাপকালে বলেন, “শিক্ষার্থীদের যেকেনো প্রয়োজনে আমি পাশে থাকার চেষ্টা করবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম শিক্ষার্থীদেরকে কেন্দ্র করেই। তাদের নিরাপত্তা বিধানে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে আমার কাছে আসতে যেন ইতস্তত বোধ না করে সেই চেষ্টাই করবো।”