বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও সাবেক জিয়ানগর উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী বলেছেন, "আমার পিতা শহীদ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট খুনি হাসিনা বিনা অপরাধে মিথ্যা মামলায় দীর্ঘ ১৩ টি বছর জেলখানার অন্ধকারে বন্ধী রেখে বিনা চিকিৎসায় পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।

আমরা এই হত্যার বিচার চাই। আল্লামা সাঈদী হত্যার বিচার এই বাংলার মাটিতে হবেই হবে ইনশাআল্লাহ। সেটা ইসলামের বিজয় এর মাধ্যমে, দাঁড়িপাল্লায় ভোটের মাধ্যমে।" 

রোববার দিনব্যাপী ইন্দুরকানী উপজেলাধীন ৫ নং চন্ডিপুর ও ৩ নং বালিপাড়া ইউনিয়নে গণসংযোগ, মতবিনিময় ও সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 
তিনি আরও বলেন, আমার পিতা ১০টি বছর সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও ১৯৯৬-২০০১ সালে আওয়ামী শাসনামলে ওই সরকার তার বিপরীতে থাকায় তিনি তেমন উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারেননি। ২০০১-২০০৬ সালে চারদলীয় ঐক্য জোটের আমলে তিনি পিরোজপুর, নাজিরপুরসহ অত্র ইন্দুরকানী উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়ন মূলক কাজ করেছিলেন। যা অন্য কোন সংসদ সদস্য করতে পারেনি। অবহেলিত ইন্দুরকানী থানাকে জিয়ানগর উপজেলায় রূপান্তর করেন। উপজেলা ঘোষণার পর থেকেই ব্রিজ, হাসপাতাল, রাস্তাঘাট, বেড়িবাঁধ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সকল স্তরে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। তিনি হাজার হাজার কোটি টাকার কাজ করিয়েও কখনো একটি টাকা দুর্ণীতি বা অনিয়ম করেননি। নিজেকে সব সময় দুর্ণীতিমুক্ত রেখেছিলেন। সৎ, আদর্শবান নেতা হিসেবে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। 

মাসুদ সাঈদী আরও বলেন, আমি এই উপজেলায় আওয়ামী শাসনামলে দীর্ঘ পাঁচটি বছর সফলভাবে উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছি। আল্লামা সাঈদী পুত্র হিসেবে নিজেকে সবসময় আমার বাবার ও ন্যায়নীতির অনুসরণ করে চলেছি। কখনো নিজে স্বজনপ্রীতি বা নিজে লাভবানের চিন্তা করিনি। আমার বাবাও সেই চিন্তা করেননি। আমি যতদিন বেঁচে থাকবো সৎ ভাবে জীবন যাপন করে যাব এবং আপনাদের পাশে থাকব। অসৎ বা দুর্নীতির আশ্রয় নিলে আমাদের অবস্থা হাসিনার মন্ত্রী এমপিদের মত হতো। দূর্ণীতি করলে আপনাদের সামনে এভাবে উচ্চস্বরে কথা বলা বা ভোটের দাবি করতে পারতাম না। 

তিনি বলেন, পিরোজপুর থেকে আপনাদের এই চন্ডিপুর, সন্ন্যাসী-কলারণ খেয়াঘাট পর্যন্ত রাস্তাঘাটের বেহালদশা, চলাচলে মানুষের সীমাহীন দুর্দশা। এই এলাকায় এখনো অনেক কাঁচা রাস্তা আছে কার্পেটিং রাস্তা থাকলেও তা আমার বাবার আমলে করা। আল্লামা সাঈদীর নিজ উপজেলা বিধায় আওয়ামী সরকার এই উপজেলাকে উন্নয়ন বঞ্চিত করে রেখেছিলেন। কোন উন্নয়নের প্রসার ঘটায়নি। দুই একটি কাজ হলেও তা নিম্নমানের ও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। আপনারা দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিয়ে আমাকে এমপি নির্বাচিত করলে আমি আপনাদের স্বপ্ন পূরণ করতে সবোর্চ্চ চেষ্টা করবো। আমার পিতার অসম্পূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারবো, ইনশাআল্লাহ। 

দিনব্যাপী গণসংযোগ মতবিনিময় ও বিভিন্ন কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে তার সফরসঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইন্দুরকানী উপজেলা জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারি মো. তৌহিদুর রহমান রাতুল, চন্ডিপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মাওলানা সরোয়ার হোসেন মোল্লা, বালিপাড়া ইউনিয়ন আমীর মো: শহীদুল ইসলাম, চন্ডিপুর ইউনিয়নের শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মো: জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. আশরাফুল ইসলাম, সেক্রেটারি কে, এম রাহাতুল ইসলামসহ উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।