মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ওয়েস্ট্রেজ ব্যবসার দখল নেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত পাঁচ জন।আহতরা হলেন, ভবেরচর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শফিক শিকদার (৪৫), তার ছেলে ফাহিম শিকদার (২৬), তিন ভাতিজা দস্তগির প্রধান (৪৮),অন্তর ঢালী (২৬) ও আল আমিন সিকদার (৪৫)।সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টার উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের ভিটিকান্দি বাস স্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের ভিটিকান্দি বাস স্ট্যান্ড এলাকায় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়ায় স্থানীয় বিএনপির দুই গ্রুপের লোকজন। এসময় গজারিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহমান শফিক ও ভবেরচর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক শফিক শিকদারের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ৫ জন। আহতরা সবাই অধ্যাপক শফিক শিকদারের সমর্থক।হামলায় আহত ভবেরচর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক শফিক শিকদার বলেন, দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে আমি ভবেরচর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি দায়িত্ব পালন করছি। দলের প্রতি নিবেদিত প্রাণ থাকার কারণে আমাকে অনেকবার হামলা মামলার শিকার হতে হয়েছে। সম্প্রতি আমি ভিটিকান্দি এলাকার সুপারস্টার ইন্ডাস্ট্রির ওয়েস্ট্রেজ মালামাল বিক্রির কার্যাদেশ পাই। কোম্পানিটির একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা আজ আমাকে ফোন করে সেখানে যেতে বলায় আমি বিকাল চারটার দিকে সেখানে গিয়েছিলাম। আমার ছেলে এবং তিন ভাতিজা আমার সাথে ছিল। আমি সেখানে যাওয়ার পর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহমান শফিকের নেতৃত্বে অন্তত ৭০/৮০জন আমাদের উপর হামলা চালায়। এ সময় তারা আমাদের বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে এবং মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। বর্তমানে আমি সহ ৫জন আমরা গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছি।বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহমান শফিক বলেন, এক সময় এই কাজটি আমি করতাম। সম্প্রতি উপজেলা ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মীকে কার্যাদেশ দেওয়া হয় তবে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শফিক শিকদার জোরপূর্বক কাজ করার চেষ্টা করছিলেন। আজ সকালেও তার ৫/৬জন লোক এলাকায় মহড়া দিয়ে গেছে। বিকাল চারটার দিকে ১০/১২টি মোটরসাইকেল নিয়ে শফিক শিকদারসহ ২০/২২জন লোক এলাকায় মহড়া দেওয়ার সময় স্থানীয় ছাত্রদল নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দিলে তারা পড়ে গিয়ে আহত হয়। এখানে মারামারির কোন ঘটনা ঘটে নাই।
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সাময়িকভাবে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হলেও এখন পরিস্থিতি শান্ত। এ বিষয়ে দুই পক্ষই থানাতে অভিযোগ দিয়েছে।