পর্যটন নগরী কক্সবাজারের ঝিলংজার ১নং ওয়ার্ডের উত্তরণ আবাসিক এলাকায় রন্জন চাকমা নামে এক আদিবাসীকে হত্যা ও তার স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

 খুন করে পালানোর সময় খুনি বিমল চাকমাকে  আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। হত্যার শিকার ব্যাক্তি ও তার স্ত্রী এবং খুনি পুর্ব পরিচিত রাঙ্গামাটির বাসিন্দা বলে জানা গেছে।  প্রত্যক্ষদর্শীর মতে,শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে বর্ণিত এলাকায় উপরোক্ত ঘটনাটি ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা আরও জানান,হত্যার শিকার ব্যক্তি তিনদিন আগে স্বস্ত্রীক খুনির ভাড়া বাসায় এসেছিল। রাতে আদিবাসী নারীর কান্না শুনে তারা এগিয়ে গেলে ওই নারীকে বিবস্ত্র অবস্থায় স্বামীর লাশের পাশে বিলাপ করতে দেখতে পাই। খুন করে পালানোর সময় খুনি বিমলকে আটক করে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয় কয়েক বাসিন্দা। তবে খুনি মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলে জানা গেছে।
স্থানীয় আরেক প্রত্যক্ষদর্শী জানান,স্বামী রঞ্জন চাকমার মরদেহ জড়িয়ে কান্না করছিল হতভাগা তার স্ত্রী। স্ত্রীর অভিযোগ তার স্বামীকে জবাই করে হ'ত্যা করা হয়েছে। হ'ত্যা করে পালিয়ে যাবার সময় স্থানীয় কয়েকজন হাতে র'ক্ত দেখে ঘাতককে ধরে ফেলে। ঘাতক বিমল চাকমা এবং হতভাগা স্বামী-স্ত্রী পরস্পর পরিচিত। উভয়ের বাড়ি রাঙ্গামাটি। সুত্র মতে, বিমল চাকমা কয়েকমাস ধরে কক্সবাজারের ঝিলংজার উত্তরণ আবাসিকের ভেতরে ভাড়া থাকে। স্বামী স্ত্রী দুজন রাঙ্গামাটি থেকে আনারস নিয়ে কক্সবাজারে আসেন বিক্রির উদ্দেশ্যে। পরিচয়ের সুবাদে আশ্রয় নেন পরিচিত ঘাতক বিমলের বাসায়।
শনিবার রাতে সবাই একসাথে মদপান করছিলেন। মদ্যপ অবস্থায় পাশের আরেক কক্ষে বিমল রঞ্জনের স্ত্রীকে ধ'র্ষ'ণ কিংবা ধ'র্ষ'ণ চেষ্টা করে। স্ত্রী সেখান থেকে দৌঁড়ে স্বামী রঞ্জনকে বিষয়টি জানালে বাকবিতন্ডা হয় কিছু সময়। পরে স্বামী রঞ্জন চাকমাকে জবাই করে খুন করে ঘাতক বিমল। খুনের পর হত্যা'কারী বিমল পালাচ্ছিলো ব্যাগ নিয়ে। রক্তমাখা হাত দেখে কয়েকজন স্থানীয় তাকে আটকালে বাড়িতে গিয়ে দেখে জ"বাই করা রক্তাক্ত ম'রদেহের পাশে বিবস্ত্র অবস্থায় বিলাপ করছেন স্ত্রী। পরে হত্যাকারী নিজেই স্বীকার করে সেই খুন করেছে। স্থানীয় বাসিন্দা এবং নিহতের স্ত্রীর বরাতে এই তথ্য নিশ্চিত করা গেছে।