"কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর বাজারে অবৈধ ঔষধ বিক্রেতা বাবুলের দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান,  বিপুল পরিমাণ অবৈধ ঔষধ জব্দ"   আমিনুর রহমান, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি।। কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর বাজারে অনুমোদনহীন অবৈধ ওষুধ বিক্রিতা বাবুলের দোকানে অভিযান পরিচালনা করেছেন মৌলভীবাজার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এর সহকারী পরিচালক করেছেন মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ।   আজ সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। জানা যায়, বাবুল মিয়া (৩৫)   শমশেরনগর রেলওয়ের পাশে একটি মার্কেটের দোকান ভাড়া নিয়ে দীর্ঘ বছর যাবত অবৈধ ঔষধ বিপুল পরিমাণ মজুত সহ শমশেরনগর বাজারের বিভিন্ন ফার্মেসী এবং আশেপাশের গ্রামগঞ্জের হাতুড়ি চিকিৎসকদের ফার্মেসীতে সল্পমূল্যে পাইকারি বিক্রি করে আসছেন।    উনার গোডাউনে অভিযান পরিচালনার সময় দেখা যায়, দোকানের মধ্যে বেনামী কোম্পানীর বিভিন্নধরনের অবৈধ ঔষধ, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি, ব্যাপক প্বার্শপ্রতিক্রিয়া যুক্ত স্টেরয়েড সমৃদ্ধ হারবাল ঔষধ জব্দ করা হয়। এছাড়াও মুসলিম ফার্মাসিউটিক্যালস প্রাপাইটর বাবুল মিয়া নামে ব্যাপক পরিমাণ ভিজিটিং কার্ড জব্দ করা হয়।   উল্লেখ্য যে, বাবুল মিয়া ফার্মেসীর কোন নিবন্ধন গ্রহণ না করে শুধুমাত্র ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ফাইজা ফার্মেসি নামে একটি ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ করে এই অবৈধ ঔষধ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।   এই বিষয়ে শমশেরনগর কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি আব্দুল আজিজ বাবলু জানান- অবৈধ ঔষধ বিক্রেতা বাবুল আমাদের সমিতির কোন সদস্য নয়, সে দীর্ঘ বছর ধরে কোন নিবন্ধন ছাড়া এইরকম অবৈধ ব্যবসা করে আসছে। আমি চাই আমার শমশেরনগর এর সকল ঔষধ ব্যবসায়ী ক্লিনভাবে ব্যবসা পরিচালনা করুক। তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালতকে এইরকম অভিযান পরিচালনার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং বাবুলকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্যে অনুরোধ জানান।     এই বিষয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর মৌলভীবাজার এর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ প্রতিবেদককে জানান- আমরা সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বাবুল এর অবৈধ ঔষধের দোকানে অভিযান পরিচালনা করি, তার দোকান থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ ঔষধ জব্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে