কাশিমপুরে বসত বাড়ি দখল কেন্দ্র করে তিন সহোদরের বিরুদ্ধে ছোট ভাইকে হত্যার চেষ্ট অভিযোগ

কাশিমপুরে বসত বাড়ি দখল কেন্দ্র করে তিন সহোদরের বিরুদ্ধে ছোট ভাইকে হত্যার চেষ্ট অভিযোগ বাধা দিতে দিতে গেলে তার স্ত্রীকে শ্লীলতা হানী সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি তিন সহোদরের বিরুদ্ধে তাদের ছোট ভাই আশরাফুল আলম সজীবকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা অভিযোগ পাওয়া গেছে। বসত বাড়ি দখল কেন্দ্র করে সজীব ও তার স্ত্রী শারমিনের উপর দফায় দফায় মারপিট ও শ্লীলতা হানীসহ নির্যাতন করে আসছে বলে জানায় ভুক্তভুগি ও প্রত্যক্ষদর্শিরা। গাজীপুর জেলার কাশিমপুর থানার নবী টেক্সটাইল এলাকায় এঘটনা ঘটে। আহত স্ত্রী শারমিন ও মুমুর্ষো সবুজ কে তার স্বশুর বাড়ির লোকজন  সাটুরিয়া উপজেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।ভুক্তভুগির অভিযোগ, কাশিমপুর নবী টেক্ষটাইল এলাকার চার সন্তানের জনক সফর উদ্দিন, ছোট ছেলে আশরাফুল আলম সজিবকে কিছু জমি লিখে দেন। এতে প্রতিহিংসায় জ্বলে উঠে অন্য তিন ছেলে। তারা পিতাকে ফুসলিয়ে ওই জমি ফেরৎ নিতে চাপ দেয়। ফেরৎ না দেয়ায় সজিব ও তার স্ত্রীর উপর মাঝে মধ্যেই চলে হামলা নির্যাতন। সজিবের একমাত্র বাসস্থান ওই জমিতে ১৪৫ ধারা জারির আবদেন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন আদালতের ওই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গত শনিবার তিনভাই আসাদুজ্জামান শাকিল, আক্তারুজ্জামান সাব্বির, আনোয়ারুল কবির সেলিম ও পিতা সফর উদ্দিন জোর দখল করতে যায়। এতে বাধা দিলে সজীবের স্ত্রী শারমিনকে পিটিয়ে আহত করে তারা। হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসার শেষে গত মঙ্গলবার বাড়ি ফিরে। ওইদিন বিকেলেই সন্ত্রাসী কায়দায় ফের হামলা চালায় প্রতিপক্ষরা। চারজনে মিলে সজীবকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। বাধা দিতে গেলে স্ত্রী শারমিনকেও চুল ধরে টানাহেচলা করে পিটুনী দেয়। এতে তার কোলের শিশুসহ শারমিন ও তার স্বামী সজীব মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। স্থানীয়রা দুজনকে উদ্ধার করে সাটুরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা ব্যবস্থা করেন।আহত সজীব বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আমার ঘড় সন্ত্রাসী কায়দায় একাধিকবার জোর দখলের চেষ্টা করছে প্রতিপক্ষরা। বারবার হামলা ও পিটুনীর শিকার হচ্ছি। তারা আমাকে গলা চেপে ধরে হত্যার চেষ্টা করেছে। আমার স্ত্রীকে চুল ধরে টানা হেচরা করেছে। আমি ন্যায় বিচার চাই।এ ব্যাপারে জানতে প্রতিপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাদের পাওয়া যায়নি।জানতে চাইলে  কাশিমপর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি)   মো,সাইফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি অবগত হয়ে তখনই পুলিশ পাঠানো হয়েছে।  লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।