ভুক্তভোগী সুফিয়া বেগম অভিযোগ করে বলেন, “আমি ভিক্ষা করে খাই, কোনোমতে দিন চলে। তবুও কষ্ট করে টাকা জোগাড় করে দিয়েছি। কিন্তু তিনি খারিজ না করে বদলির অর্ডার নিয়ে চলে যাচ্ছেন। টাকা ফেরত চাইতে গেলে উল্টো অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন।”
তিনি আরও জানান, এর আগেও খারিজ করিয়ে দেওয়ার নাম করে উম্মে মাসুমা দেওয়ান তার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে সাংবাদিকরা সরেজমিনে তথ্য নিতে গেলে ওই কর্মকর্তা ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন,
“আপনি কে আমার কাছে প্রশ্ন করার? আমি ৭ হাজার না ১৫ হাজার নিয়েছি সেটা দেখার আপনি কে? এটা আমার বিষয়।”
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ভূমি অফিসে খারিজ ও খাজনার জন্য গেলে সবার আগে হয়রানির শিকার হতে হয়। উম্মে মাসুমা দেওয়ান যা দাবি করেন, সেটা না দিলে কোনো কাজই করা হয় না। ফলে সাধারণ মানুষ বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত টাকা দিতে রাজি হন।
এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা দ্রুত তদন্ত করে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে কালিহাতি সহকারী কমিশনার (ভূমি) সায়েদা খানম লিজা বলেন,
“আমি নতুন এসেছি। যতটুকু জানি, উম্মে মাসুমা দেওয়ানকে ইতিমধ্যে বদলি করা হয়েছে। তবে অভিযোগগুলো তদন্ত করে দেখা হবে।”