মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ৩টি অবৈধ চুনা কারখানায় অভিযান চালিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। এসময় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ওই কারখানাগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। কারখানা ৩টিতে প্রতিদিন ৩লাখ ৯১হাজার ৪৫০ টাকার সরকারী গ্যাস ব্যবহার করা হতো বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গতকাল রবিবার বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৬টা পর্যন্ত উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের বাউশিয়া পাখির মোড়, চর বাউশিয়া পশ্চিমকান্দি ও টেংগারচর ইউনিয়নের ভাটেরচর নতুন রাস্তা এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেটের দায়িত্বে ছিলেন জেলার সহকারী কমিশনার ওমর ফারুক।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,এর আগেও বেশ কয়েকবার এই কারখানা গুলোতে অভিযান চালানো হয়েছে, কিন্তু কোনো স্থায়ী সমাধান হয়নি। এই বার প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে এবং কারখানা দুটি সম্পূর্ণরূপে ভেঙে দিয়েছে।

অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি অধিগ্রহণ শাখা এবং ভিপি সেল) ওমর শরীফ ফাহাদ বলেন, অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করে চুনা কারখানা গুলো পরিচালনা করা হচ্ছিল। এই ধরনের কার্যক্রম পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এবং সরকারের রাজস্বের ক্ষতি করে। তাই, এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। 

এবিষয়ে তিতাস গ্যাস সোনারগাঁ মেঘনা ঘাট অঞ্চলের ব্যবস্থাপক সুরজিত কুমার সাহা বলেন,গত কয়েক মাস ধরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ এবং মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।আজকে অভিযানে বাউশিয়া পাখির মোড়,চর বাউশিয়া পশ্চিম কান্দি ও ভাটেরচর নতুন রাস্তা এলাকায় গড়ে তুলা ৩টি অবৈধ চুন কারখানার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে স্কেভেটার দিয়ে কারখানা গুলো গুঁড়িয়ে দেয়া হয় এবং চুল্লি গুলো ধ্বংস করা হয়। কারখানা ৩টিতে প্রতিদিন আনুমানিক ৩ লাখ ৯১হাজার ৪৫০ টাকার সরকারী গ্যাস চুরি করা হতো।এসময় কাউকে আটক করা যায়নি, তিতাস কর্তৃপক্ষের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে অপরাধীরা পালিয়ে যায়। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

অভিযানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন গজারিয়া থানা পুলিশ ও গজারিয়া ফায়ার সার্ভিস।