পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এখন তোলপাড়। আদালতের পেশকার মো. আবু জাফরের বিরুদ্ধে ভয়াবহ ঘুষ, দুর্নীতি, অনিয়ম ও ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগে ক্ষুব্ধ আইনজীবীরা আদালত বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, এমএলএসএস পদ থেকে প্রভাব খাটিয়ে পেশকার পদে উন্নীত হওয়ার পর গত পাঁচ বছর ধরে আবু জাফর আদালতকে ব্যক্তিগত আয়ের ঘরে পরিণত করেছেন। মামলার তারিখ পরিবর্তন, রায় প্রভাবিত, নথি আটকে রাখা, নকল কপি দিতে ঘুষ আদায়সহ অসংখ্য অভিযোগ তার বিরুদ্ধে রয়েছে। এমনকি তিনি চাকরির পর পটুয়াখালী বাঁধঘাট এলাকায় পাঁচতলা ভবন নির্মাণ করেছেন বলেও অভিযোগ ওঠে।

গত ৮ সেপ্টেম্বর সকালে নথি সংক্রান্ত বিষয়ে আইনজীবীরা তার কক্ষে গেলে তিনি অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন এবং এক আইনজীবীর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বলেন— “টুপি নামিয়ে কথা বলুন।” এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আইনজীবীরা তাৎক্ষণিকভাবে আদালত বর্জনের ঘোষণা দেন।

এ ঘটনায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহামুদুল হাসান আইনজীবীদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন। বৈঠকে প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তিনি আবু জাফরের বোনের ছেলে রাসেলকে অবৈধভাবে অফিসে কাজ করায় বহিষ্কার করেন এবং পেশকারের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

আইনজীবী সমিতির নেতারা স্পষ্ট জানিয়েছেন, “কেবল বদলি নয়, দুর্নীতিবাজ আবু জাফরকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করতে হবে। আদালতের মর্যাদা রক্ষায় এর বিকল্প নেই।