জানা গেছে, দাউদকান্দি উপজেলার মাইথারকান্দি-গৌরীপুর খাল গোমতীর শাখা নদ কালাডুমুর থেকে উৎপত্তি হয়ে গৌরীপুর বাজার এবং সুবল আফতাব উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে হয়ে মাইথার কান্দি, পলুদ্দির পার, পেন্নাই, হরিপুর, আমিরাবাদ, ইছাপুর, তিনচিটা হয়ে বারিকান্দি, রাঙাসিমুলিয়া, সুন্দলপুর, জুরানপুর, গোয়ালমারী, মোল্লাকান্দি হয়ে খিরাই নদে মিশেছে। খিরাই নদ আবার মেঘনায় গিয়ে যুক্ত হয়েছে।

কুমিল্লার দাউদকান্দির ঐতিহ্যবাহী গৌরিপুর সুবল আফতাব উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে বয়ে যাওয়া মাইথারকান্দি খালের মুখ একটা বিরাট ময়লার ভাগাড়ে পরিনত হয়েছে।

জানা গেছে, দাউদকান্দি উপজেলার মাইথারকান্দি-গৌরীপুর খাল গোমতীর শাখা নদ কালাডুমুর থেকে উৎপত্তি হয়ে গৌরীপুর বাজার এবং সুবল আফতাব উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে হয়ে মাইথার কান্দি, পলুদ্দির পার, পেন্নাই, হরিপুর, আমিরাবাদ, ইছাপুর, তিনচিটা হয়ে বারিকান্দি, রাঙাসিমুলিয়া, সুন্দলপুর, জুরানপুর, গোয়ালমারী, মোল্লাকান্দি হয়ে খিরাই নদে মিশেছে। খিরাই নদ আবার মেঘনায় গিয়ে যুক্ত হয়েছে।

এটি বড় খাল নামেও পরিচিত। আনুমানিক ১২ কিলোমিটারের বেশি মাইথারকান্দি খাল কয়েকটি ইউনিয়ন অতিক্রম করেছে। এ খালের পানি দিয়ে আশপাশের গ্রামগুলোর কৃষকরা বোরো ধানের আবাদসহ সব ধরনের ফসলে সেচের সুবিধা পেতেন। সেই সুবিধা আগের মতো নেই। এতে অনাবাদি হয়ে পড়েছে শত শত একর জমি। কারণ বর্তমানে গৌরীপুর বাজারের বর্জ্যে খালের মুখ ভরাট হয়ে গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, বাজারের খালের পাশেই ঐতিহ্যবাহী গৌরিপুর সুবল আফতাব উচ্চ বিদ্যালয়। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে প্রবেশ করছে খাল ডিঙিয়ে। এভাবে অসংখ্য শিক্ষার্থীকে স্কুলে যেতে হয় প্রতিদিন। শ্রেণিকক্ষে বসে শিক্ষার্থীরাও খালের এই ময়লার দুর্গন্ধে প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়ছে।এই খালে একসময় উপচে পড়া পানি ছিল। এটি দিয়ে নৌকা চলতো।

জেলেরা মাছ ধরতেন। কৃষক এর পানি কৃষিকাজে ব্যবহার করতেন। প্রকৃতিও সুন্দর ছিল। অথচ এটি এখন মরা খাল। অনেক বছর ধরে খালটির এমন দুরবস্থা। গ্রামবাসি বার বার এ নিয়ে কথা বললে ও কোন প্রতিকার পায়নি, খালটিকে বাঁচিয়ে তুলতে কেউ এগিয়ে আসেনি। বিদ্যালয়ের সামনে সুস্থ সুন্দর পরিবেশ এবং খালের আশপাশের শত শত একর অনাবাদি কৃষিজমিকে আবাদি করতে, এই খাল রক্ষা করে খালে নাব্যতা ফিরিয়ে আনা এখন সময়ের দাবি।