মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে আদালত ভবনের প্রবেশমুখে রঙ্গম কনভেনশন হলের সামনে ইসকন নেতার গ্রেফতারের প্রতিবাদে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালী থানার লালদিঘী এলাকায় সম্মিলিত সনাতনী জাগরন জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভরতদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় সাইফুল ইসলাম আলিফ(৩০) নামে এক শিক্ষানবীশ আইনজীবী নিহত হয়েছেন। এসময় এডভোকেট ইদ্রীচ রানা জানান যে, সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে ইসকন সমর্থনকারীরা ধাওয়া পাল্টার সময় সাইফুল ইসলাম পিছনে পড়ে যান,এবং তারা সাইফুলকে কুপিয়ে জখম করে হত্যা করে। এর আগে বিকালে আদালত প্রাঙ্গনে মসজিদ ভাঙ্গা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় দুপক্ষ।বিকাল ৫:৩০ টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর সাধারণ শিক্ষার্থীরা এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যার প্রেক্ষিতে তারা ক্যাম্পাসের জিরো পয়েন্ট এ প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুর রহমান স্পষ্ট জানান, তারা এই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর মাটি থেকে এই হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন। এছাড়া আরেক শিক্ষার্থী সাবের হোসেন জানান, অন্যায়কারীর কোনো সম্প্রদায় থাকে না,সকল মানুষকে মাথা ঠান্ডা রাখার আহ্বান জানান সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় লিপ্ত হওয়া যাবে না এবং অপপ্রচার গুলো শক্ত হাতে দমন করতে বলে।এবং পরিশেষে সকল শিক্ষার্থীর একটি দাবি ছিলো,ইসকনকে জঙ্গি গোষ্ঠী স্বীকৃতি দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করার নির্দেশ দেয়। এবং অবৈধ ফান্ডিং রুখে দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সজাগ থাকার হুশিয়ারি দেয়। তারা ২৪ ঘন্টার মধ্যে অপরাধীদের গ্রেফতারের হুশিয়ারী দেয় এবং রাজপথে আন্দোলন করার কথা বলে ও লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাবে।