চট্টগ্রাম শহর থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার জেলা এবং ৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বান্দরবান পার্বত্য জেলা পর্যটন এরিয়া হওয়ার কারণে চট্টগ্রাম শহর থেকে দক্ষিণ  চট্টগ্রামের,কর্ণফুলি থানা ,  পটিয়া থানা,ছন্দনাইশ থানা ,সাতকানিয়া থানা, লোহাগড়া থানা, চকরিয়া থানা হয়ে  যেতে হয় দেশের খ্যাতনামা এই জেলা গুলোতে।সেই সুবাদে বিভিন্ন নামে বেনামে   পরিবহন ব্যবস্থা রয়েছে এ অঞ্চলে , যাদের বেশিরভাগ সুনির্দিষ্ট কোন ভাড়ার তালিকা নাই কোম্পানি সমূহ ভাড়া নির্ধারণ করে তাদের মনগড়া ইচ্ছে অনুসারে সুবিধামতো এতে করে স্থানীয় সহ দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আগত পর্যটকদের পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিআরটিএ, ভোক্তা অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসক, সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব পালনে সক্রিয়তা দেখা যায় না,সে সুবাধে পরিবহন মালিক,শ্রমিকরা বিভিন্ন অনিয়মকে নিয়ম -নীতি বানিয়ে তাদের স্বার্থ হাচিল করতে মরিয়া।


তাছাড়া সরকারি ছুটির দিন সমূহের  আগে পরে ভাড়া গুনতে হয় দুই -চার  গুণ বেশি। এ নিয়ে যাত্রী দের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।
ভাড়া নিয়ে গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকবার যাত্রীদের সাথে মারামারি, হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনসাধারণ।
কোন সমস্যা সৃষ্টি হলে শ্রমিক নেতারা তড়িঘড়ি করে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি সামাল দেয় যাতে এসব নিয়ে জেলা,উপজেলা পর্যায়ে কোন বাঁধা না আসে।

তাছাড়া, কয়েকটি ফার্মের  গাড়ীর ড্রাইভার বাদে  বাকি ড্রাইভার দের নাই লাইসেন্স, এবং গাড়ী সমুহের নাই ফিটনেস,  গাড়ীর ড্রাইভার  অনভিজ্ঞ হওয়ায় দুর্ঘটনা লেগেই আছে নিত্তনৈমিত্তিক ভাবে।তাতে মানুষের জীবন হানি হচ্ছে প্রচুর।
গত ঈদুল ফিতরে বড় বড় কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটে যা সারা দেশ ব্যাপি আলোড়ন সৃষ্টি করে।
ভাড়া নিয়ে কিছু দিন আগে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার, এসিল্যান্ড মহোদয়, ছাত্র প্রতিনিধি দের সমন্বয়ে কয়েকবার অভিযান চালালেও আশপাশের অন্যন্য উপজেলার কর্মকর্তা বৃন্দ কোন ভুমিকা রাখতে দেখা যায়নি।

এতে করে আবারও তাদের মনগড়া ভাড়ার বিনিময়ে যাত্রী দের যাতায়াত করতে বাধ্য করতেছে পরিবহন সিন্ডিকেট।  পরিবহন সিন্ডিকেটের মধ্যে অন্য তম হচ্ছে, ঈগল,এলাইন,শ্যামলী, হানিফ,মারসা,পুরবি-পুর্বানী, সাঙ্গু,এস আলম,সৌদিয়া পরিরহন,ইত্যাদি।