প্রকল্পটিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ লাখ ৯৮ হাজার ৪৩০ টাকা। কিন্তু কাজের মান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কলেজ শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় সাধারণ মানুষ। তাদের অভিযোগ, সরকারি অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত না হওয়ায় টেকসই কাজ হচ্ছে না, বরং কাজ শেষ হওয়ার আগেই গেটের ভাঙাচোরা চিত্র চোখে পড়ছে।
সরজমিনে জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকায় একটি আধুনিক গেট নির্মাণের বরাদ্দ দেওয়া হয় ফরিদগঞ্জ সরকারি ডিগ্রি কলেজে। টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজটি পান এমএস হাজী জামান এন্টারপ্রাইজ। প্রতিষ্ঠানটি গত ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সালে কাজের অনুমতি পত্র হাতে পায়।
কাজ শুরুর পর থেকেই নানা অনিয়মে মধ্য দিয়ে কাজটি চলমান রয়েছে । স্থানীয়দের অভিযোগ, কাজের মানহীনতার বিষয়ে বহুবার আপত্তি জানানো হলেও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কোনো কর্ণপাত করেনি। অনিয়ম যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষের তিনজনকে কাজ তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হলেও তারা কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
কয়েকজন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক ক্ষোভ প্রকাশ করে
বলেন, “এটা আমাদের প্রতিষ্ঠান। এখানে এমন দুর্নীতিপূর্ণ কাজ হবে তা ভাবতেও পারিনি। এত টাকা ব্যয় করেও যদি মান নিশ্চিত না হয়, তবে এর দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।”
তদারকি কমিটির সদস্য ও কলেজের প্রভাষক নাসির উদ্দিন জানান, তারা কাজের অনিয়ম দেখেছেন এবং বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছেন।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমএস হাজী জামান এন্টারপ্রাইজ-এর মালিক জাকির হোসেনকে কাজের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এটা আপনাদের দেখার দায়িত্ব না। এটা শিক্ষা প্রকৌশলী দেখবেন।”
এ বিষয়ে শিক্ষা প্রকৌশলী বিভাগের এসও শাহাদাত হোসেন বলেন, “কাজের মান সুন্দর হয়েছে।” তবে রড বাইরে থেকে দৃশ্যমান কেন—এমন প্রশ্নে তিনি জানান, “আমি এ বিষয়ে জানি না। আমার স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।”
অভিযোগের বিষয়ে জেলা শিক্ষা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুরুল আলম শরীফ বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।