২৪শে জুলাইয়ের গণআন্দোলনে ছাত্র-জনতা হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত, মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার আন্ধার মানিক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খোকন এখনো বহাল তবিয়তে আছেন।

তার বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে (মামলা নং সিআর ১২৯২/২০২৪, তারিখ ১৪/১০/২৪) এবং স্থানীয়রা বলছেন, এই মামলা থাকা সত্ত্বেও কাজিরহাট থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছে না।
‎কার্যালয়ে তালা, কিন্তু ইউএনও'র মিটিংয়ে নিয়মিত
‎স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৫ই আগস্টের পর থেকে চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খোকন ইউনিয়ন পরিষদে অনুপস্থিত। তার অফিস কক্ষে সবসময় তালা ঝুলতে দেখা গেলেও, পরিষদের সচিবের সহায়তায় তাকে কাগজে-কলমে নিয়মিত উপস্থিত দেখানো হচ্ছে। এই কাজে তার পালকপুত্র ও ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার ওয়াসিম চেয়ারম্যানের পক্ষে জাল স্বাক্ষর করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
‎সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন উঠেছে তার প্রকাশ্যে চলাফেরা নিয়ে। হত্যা মামলার একজন আসামি হয়েও তিনি নাকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে নিয়মিত মিটিংয়ে অংশ নিচ্ছেন। জনগণের মনে প্রশ্ন, একটি উপজেলার সর্বোচ্চ কর্মকর্তার কার্যালয়ে কীভাবে একজন হত্যা মামলার আসামি অবাধে প্রবেশ করতে পারে?
‎নাসির উদ্দিন খোকন তার রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে প্রভাব খাটাচ্ছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি আলোচিত বিহংগ পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং কাজিরহাট থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। তার এই রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক পরিচয়ের কারণেই প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে অনেকে ধারণা করছেন।
‎হত্যা মামলার পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে দুর্নীতিরও অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগীরা জানান, ভিডব্লিউবি (Vulnerable Group Development) কার্ড করে দেওয়ার নামে তিনি ১০ জনের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এসব ভুক্তভোগী আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছেন।
‎এই গুরুতর অভিযোগগুলো সত্ত্বেও পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের নীরবতা জনমনে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। সাধারণ মানুষ দ্রুত তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।