এর আগে শ্যালক মাকছুদুর রহমান গত বুধবার তার পরিবারের বিভিন্ন সময়ে জাল দলিল করে ২৯ একর জমি দখল করে নেওয়ার অভিযোগ এনে দুলাভাইয়ের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন।
ওই সময় শ্যালক মাকছুদুর রহমান বলেন, ভূমিদস্যু জাহাঙ্গীর আলমকে আমার বাবা হাজী হাছানুজ্জামান আমাদের জমি জমা দেখা শুনার দায়িত্ব দেন। তখন থেকে জাহাঙ্গীর তার বাবার সাথে প্রতারণা করে কিছু জমি নিজের নামে রেকর্ড করে নেয়।
এর পর সে কৌশলে আমার বাবার সাথে সম্পর্ক তৈরি করে জাল দলিলের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে ২৮ একর ৭৩ শতাংশ জমি দখল করে নেয়। আমার বাবার মৃত্যুর পর আমরা যখন বাবার জায়গা জমির হিসাব চাইলে সে তালবাহানা শুরু করে এবং আমাদের জমির কোন দলিল পত্র দেয়না। পরে দলিলসহ সকল কাগজ পত্র সংগ্রহ করলে তার এ সব অনিয়মের হিসাব দেখতে পাই আমরা।
এর পর সে কৌশলে আমার বাবার সাথে সম্পর্ক তৈরি করে জাল দলিলের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে ২৮ একর ৭৩ শতাংশ জমি দখল করে নেয়। আমার বাবার মৃত্যুর পর আমরা যখন বাবার জায়গা জমির হিসাব চাইলে সে তালবাহানা শুরু করে এবং আমাদের জমির কোন দলিল পত্র দেয়না। পরে দলিলসহ সকল কাগজ পত্র সংগ্রহ করলে তার এ সব অনিয়মের হিসাব দেখতে পাই আমরা।
তার অপকর্মের বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথা বললে সে আমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগটি নিয়ে থানায় একটি বৈঠক হয়। সেই থেকে আমাদের কোন কোন জায়গায় সম্পত্তি আছে আমি জানার চেষ্টা করছি। এতে সে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। যার কারণে এখন আবার আমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছে।
তার বাবা হাজী হাছানুজ্জামান তাদের ঘরের কাজের লোককে ২৪ শতাংশ জমি দান করেছে। ওই জমিও জাহাঙ্গীর নিজের নামে রেকর্ড করে নেয়। এ জাহাঙ্গীরের জালিয়াতির হাত থেকে আমার খালা ও মামারাও বাঁচতে পারেনি। মামা আবদুল হাকিমকে ২০০৩ সালে মৃত দেখিয়ে ২ একর ৪০ শতাংশ জমি হাতিয়ে নেয়। কিন্তু আমার মামা মারা যায় ২০২২ সালে।
এ দিকে জাহাঙ্গীর আলম পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন শ্যালক মাকছুদ তার বিরুদ্ধে যে ২৯ একর জমি দখলের কথা বলছে তার ওই পরিমান সম্পত্তিও নাই। শ্বশুরের অনুরোধে তিনি শালাদের সকল জমি বিভিন্ন দখলদারদের থেকে উদ্ধার করেছেন। সাবেক সাংসদ মেজর (অব:) আবদুল মান্নান তার শ্বশুরের জমি দখলে নিয়েছেন। মেজর আবদুল মান্নানের বিরুদ্ধে আমি একাই লড়েছি। এতে অনেক মামলা হামলার স্বীকার হতে হয়েছে।
এ দিকে জাহাঙ্গীর আলম পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন শ্যালক মাকছুদ তার বিরুদ্ধে যে ২৯ একর জমি দখলের কথা বলছে তার ওই পরিমান সম্পত্তিও নাই। শ্বশুরের অনুরোধে তিনি শালাদের সকল জমি বিভিন্ন দখলদারদের থেকে উদ্ধার করেছেন। সাবেক সাংসদ মেজর (অব:) আবদুল মান্নান তার শ্বশুরের জমি দখলে নিয়েছেন। মেজর আবদুল মান্নানের বিরুদ্ধে আমি একাই লড়েছি। এতে অনেক মামলা হামলার স্বীকার হতে হয়েছে।
এছাড়াও জাহাঙ্গীর বলেন, কাজের লোকের জমি আমার শ্বাশুড়ির নামে রেকর্ড। আমি তাঁর খালা ও মামা আবদুল হাকিমের জমি রেকর্ড করে নিয়েছি বলে যে অভিযোগ আনা করা হয়েছে তাহাও সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি দীর্ঘদিন সৌদি আরবে ছিলাম। বিদেশ থাকা অবস্থায় তার মামাদের ওই জমি আমার স্ত্রীর সালমা বেগমের নামে কিনেছি। ওই জমি আমার শ্বাশুড়ি রফিকা খাতুনের নামে আর.এস ১০০৮ নং খতিয়ানে রেকর্ড করে নেয় মাকছুদ। পরবর্তীতে উক্ত খতিয়ানের রেকর্ডের বিরুদ্ধে আমি এল.এস.টি মামলা করি। যা আদালতে বিচারাধীন।
জাহাঙ্গীর বলেন আমার বিরুদ্ধে মাকছদ ইতোপূর্বে যে সংবাদ সম্মেলন ও সংবাদ পরিবেশন করান তাহা সম্পূর্ণ অসত্য, ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক। তার থেকে আমি টাকা পাই। ওই টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করলে মাকছুদ আমার বাড়িতে গিয়ে আমার ঘরের সকল মালামাল ভাঙচুর করে। এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। নিরুপায় হয়ে আমি থানায় অভিযোগ দেই। পরে তার অন্য ভাইয়েরা গিয়ে মুচলেকা দিয়ে তাকে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনে। আমার বিরুদ্ধে প্রেসক্লাবে মিথ্যা তথ্য প্রদান করে উক্ত সংবাদ সম্মেলন করে। আমিও প্রকৃত ঘটনার বিচার চাই।