প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন বর্তমানে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত আছেন। তবে তিনি কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে গত বছরের ২৮ আগস্ট থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। যা সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী “পলায়নের শামিল” এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়, অনুপস্থিতির দিন থেকেই তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। বরখাস্তকালীন সময়ে তিনি খোরপোষ ভাতা পাবেন বিধি অনুযায়ী।
বরখাস্তের ঘোষণার ঠিক আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ৪৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায়, ওয়ারী বিভাগের সাবেক ডিসি ইকবাল হোসাইন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে আন্দোলন চলাকালে গুলির বিষয়ে অবহিত করছেন।
ভিডিওতে ইকবাল হোসাইনকে বলতে শোনা যায়, “গুলি করে করে লাশ নামানো লাগছে স্যার। গুলি করি, মরে একটা, আহত হয় একটা। একটাই যায় স্যার, বাকিডি যায় না। এইটা হলো স্যার সবচেয়ে বড় আতঙ্কের এবং দুশ্চিন্তার বিষয়।”
এই কথোপকথন চলাকালে ইকবাল হোসাইন মন্ত্রীর সামনে একটি ভিডিও দেখাচ্ছিলেন। ক্লিপটি ধারণ করা হয় তখনকার আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পেছন দিক থেকে। ভিডিওটিতে স্পষ্টভাবে বোঝা যায়, আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর পুলিশের গুলিতে হতাহতের দৃশ্য তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দেখানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, চলতি জুলাই মাসের মাঝামাঝি থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। সেই প্রেক্ষাপটেই ভাইরাল এই ভিডিও নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
বরখাস্ত হওয়া মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইনের বাড়ি নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার পীরপুর এলাকায় বলে জানা গেছে।