জামালপুরে অনলাইন জুয়ার ক্যাসিনো সম্রাট মাহমুদুল হাসান মাসুম এশিয়ান টিভির জামালপুর প্রতিনিধি হওয়ায় জামালপুরের কর্মরত সাংবাদিকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ নিয়ে জেলার কর্মরত সাংবাদিক ও সাধারন মানুষদের মধ্যে চলছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা ।

জামালপুরে অনলাইন জুয়ার ক্যাসিনো সম্রাট মাহমুদুল হাসান মাসুম এশিয়ান টিভির জামালপুর  প্রতিনিধি হওয়ায় জামালপুরের কর্মরত সাংবাদিকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ নিয়ে জেলার কর্মরত সাংবাদিক ও সাধারন  মানুষদের মধ্যে চলছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা ।  তার বিরুদ্ধে মেলান্দহ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৩০(২) ধারা  ও পেনাল কোড ১৮৬০ তৎসহ ৪২০,১৮৬৭ সালের জুয়া আইনের ৪ ধারায়  মামলা রয়েছে। জানা গেছে,  ২০০২ সালে মেলান্দহ বাজারের চিশতীয়া মার্কেটে মোবাইল সার্ভিসিংয়ের কাজ শেখেন এবং বেশ কয়েকজনকে এই কাজ শেখান মাহমুদুল হাসান মাসুম।  ২০১৬ সালের শেষের দিকে রাজশাহীতে গিয়ে একটি দোকানে এক বছর চাকরি করেন। সেখান থেকে এসে মেলান্দহের জাহানারা লতিফ মহিলা কলেজে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে অস্থায়ী চাকরি করেন দুই বছর। এর মধ্যে মেলান্দহের জিন্নাহ মার্কেটের নিচতলায় দোকান ও জামালপুর শহরের শহীদ হারুন সড়কে একটি মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দোকান দেন মাসুম। ২০১৮ সালে আবারো মেলান্দহ ফিরে জিন্নাহ মার্কেটে দোকান নেন তরুণ মাসুম। সেই দোকান শতকরা ২০ টাকা হারে বসান জুয়ার আসর। সেখান থেকেই জুয়ার দুনিয়ায় প্রবেশ করে মাহমুদুল হাসান মাসুম। জিন্নাহ মার্কেটের আড্ডা ক্যাফেতে আইপিএল, বিপিএল ও বিগ ব্যাস খেলার জুয়ার আসরে থাকত মেলান্দহের কিশোর-তরুণ ও মধ্য বয়সি ছেলেরা। 
খোজ নিয়ে জানা গেছে ,অনলাইন জুয়ার অ্যাপসের বেশির ভাগই রাশিয়া, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া থেকে পরিচালনা করা হলেও জামালপুরে মাসুম এগুলোর স্থানীয় এজেন্ট । তারা এজেন্টরা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জুয়ায় অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের সঙ্গে টাকা আদান প্রদান করেন। ২০১৮ সাল থেকে মেলান্দহ উপজেলার আদিপৈত গ্রামের আনছারুল আলমের সন্তান মাসুম ওয়ান এক্স বেট সাইট সহ কয়েকটি অনলাইন জুয়ার সাইটের এজেন্ট নিয়ে  অনলাইন জুয়ায় রমরমা ব্যবসা করে কম সময়ের মধ্যে তিনি  হয়ে যান কোটি কোটি টাকার মালিক । অনলাইন জুয়ার কারবারি হওয়ায় বাবার সঙ্গে যোগাযোগ খুবই কম ছিল মাসুমের। গড়েছেন অঢেল সম্পদ, রয়েছে একাধিক সুপার শপ, জমিসহ বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ও বাড়ি। নিয়মিত ঘুরতে যান বিশ্বের বিন্নি প্রান্তে। দীর্ঘ সময়ে তার এই অবৈধ উপার্জন এখন বৈধ আয় হিসেবে দেখাচ্ছেন তিনি। তাকে ক্যাসিনো সম্রাট মাসুম হিসেবে এক নামে চেনে জামালপুরের সবাই। ২০১৯ সালে তার বিরুদ্ধে পেনাল কোড ১৮৬০ এর তৎসহ ৪ এর ১৮৬৭ সালের জুয়া আইনের ৪ ধারায় মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যান । এরপর আবারো জামিনে এসেই প্রভাব শালীদেওর ছত্রছায়ায় জুয়ার ব্যবসা শুরু করলে  ২০২১ সালের মেলান্দহ থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩০(২) ধারায় গ্রেফতার  হয়ে হাজত বাস করেন মাসুম। ক্যাসিনো ব্যবসা ধরে রাখতে সৎম্প্রতি দেশের বেসরকারী টেলিভিশন এশিয়ান টিভিতে নিয়োগ নিয়েছেন । স্থানীয়দের অভিযোগ, মাসুম  দীর্ঘদিন ধরে ক্যাসিনো খেলে অনেক উঠতি বয়সী ও যুবককে নিঃস্ব করে দিয়েছে। এভাবে মাসুম এখন কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। তার চলা ফেরা আর দাপটে এলাকার মানুষ কথা বলতে পারেন না। 
এ বিষয়ে ক্যাসিনো সম্রাটের মাসুম জানান ,  গত সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকার এক সাংবাদিকের সহযোগিতায় জেলা প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছি । জুয়ার মামলার প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান ,জুয়ার ২ টি মামলা ডিসমিস হয়ে গেছে । এ বিষয়ে এশিয়ান টিভির জামালপুর প্রতিনিধি ও জামালপুর মডেল প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান জানান , অফিস থেকে আমাকে কেউ জানায়নি । তবে বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে শুনেছি মাসুম নামে একজন এশিয়ান টিভির প্রতিনিধি পরিচয়ে বিভিন্ন জায়গায় চলাচল করে।  ক্যাসিনো সম্রাটের নিয়োগের বিষয়টি কিভাবে নিচ্ছেন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো জানান , যাচাই বাচাই না করে একটি বেসরকারির টিভিতে ক্যাসিনো সম্রাটের নিয়োগের বিষয়টি আমাদের জন্য হুমকি স্বরূপ এবং বিভিন্ন জায়গায় প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছি ।