নিহত ছাত্রের নাম মো. মাহফুজুর রহমান (২২)। তিনি বরিশালের সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের অর্থনীতি বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তার পিতার নাম মো. ফারুক এবং মাতা মোছা. রেবেকা বেগম।
বুধবার (৯ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে টঙ্গী ফ্লাইওভারে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার দিকে টঙ্গী ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে একা হেঁটে যাওয়ার সময় মাহফুজের পথরোধ করে একদল ছিনতাইকারী। তারা তার মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নিতে চায়। প্রতিরোধ করায় ছিনতাইকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে বুকে ও পেটে উপর্যুপরি আঘাত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের পকেটে থাকা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রেশন কার্ড দেখে তার পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ। রেজিস্ট্রেশন নম্বর: ২২১২২৬৫৬৫১২।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান জানান, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ছিনতাইকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। এলাকায় অতিরিক্ত টহল জোরদার করা হয়েছে।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, টঙ্গী ফ্লাইওভার, স্টেশন রোড, চেরাগআলী মোড় ও গাজীপুরা এলাকায় সন্ধ্যার পর থেকেই ছিনতাইকারীরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। প্রতিনিয়ত পথচারীরা এসব স্থানে প্রাণ ও সম্পদ হারাচ্ছেন। অথচ প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ এখনো দৃশ্যমান নয়। টঙ্গীতে জনগণের চেয়ে পুলিশের সংখ্যা একদমই নগণ্য।
একজন স্থানীয় দোকানদার বলেন, ‘প্রতিদিন রাত হলেই এই এলাকায় আতঙ্ক শুরু হয়। কে কখন ছিনতাইকারীর কবলে পড়বে বলা যায় না। এখন ছাত্ররাও রক্ষা পাচ্ছে না।’