আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রচার ও জনগণের সামনে জামায়াতের নির্বাচন পরবর্তী বাংলাদেশের শাসন সম্পর্কে ধারণা তুলে ধরার জন্য এ আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বিগত ১৭ বছরের অত্যাচার, নিপিড়ন, হয়রানির কথা তুলে ধরা হয় এই সমাবেশে। স্বাধীনতা পরবর্তী ৫২ বছর দেশের কোন উন্নতি করতে পারেনি কোনো রাজনৈতিক দল।যদি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম ক্ষমতায় আসতে পারে,জনগণ যদি জামায়াতে ইসলামকে ক্ষমতায় আনে তাহলে চোর-বাটপার,চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি,ঘুষ,দূর্নীতি, হানাহানি,ধর্ষণ ও নারীর অধিকার কে ন্যায্যতা দিবে বটে দাবি করেছেন উপস্থিত বক্তারা।
আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠায় সকল ইসলামিক দলকে এক হওয়ার জন্য আহ্বান করা হয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের পক্ষ থেকে।
যে বা যারা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামকে স্বাধীনতা বিরোধী করতে চাচ্ছে তাদের হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলাম ১৯৭১ পরবর্তী বাংলাদেশে উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে। ভবিষ্যতে আরো অবদান রাখার জন্য জনগণের কাছে দোয়া প্রত্যাশা করেছে। বাংলাদেশের শান্তি ফেরাতে জামায়াতে ইসলামীর বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন উপস্থিত বক্তারা।
এই জনসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মাওলানা মোঃ দেলোয়ার হোসাইন ,কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও আমির বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ঢাকা জেলা। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাজী মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুর রউফ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক মনোনীত ঢাকা-২০ এর এমপি পদপ্রার্থী ও ঢাকা জেলা নায়েবে আমির।এসময় তিনি তার বক্তব্যে বলেন,“ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিচার,জুলাই আন্দোলনের শহীদ ও আহতদের পূর্ণবাসন করতে হবে। জুলাই সনদকে সংবিধানে যুক্ত করতে হবে।পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে। ফেব্রুয়ারির আগে মৌলিক সংস্কার না হলে নির্বাচন মেনে নিবে না বাংলাদেশের জনগন।নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি না হলে নির্বাচন হবে না বলে দাবী করেন তিনি।”
তিনি তার বক্তব্যে আরো বলেন,“বাংলাদেশের একটি বড় রাজনৈতিক দল আওয়ামী গলায় কথা বলছে।তারা জুলাইকে পক্খিগত করার চেষ্টা করছে।আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মানে তাদের কে সত্যের পথে ফিরে আসার আহ্বান করেন তিনি।”
এসময় সমাবেশ স্থলের পাশেই ধামরাই উপজেলা দূর্গা মন্দির থাকায় বিশৃঙ্খলা এড়াতে মন্দির পাহারা দিতে দেখা গেছে জামায়াতের নেতা কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের।
এই সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন,
জনাব অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ আফজাল হোসাইন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও সেক্রেটারী ঢাকা জেলা।মাওলানা এবিএম কামাল হোসাইন, সহকারী সেক্রেটারী ঢাকা জেলা।এডভোকেট মোঃ শাহিদুল ইসলাম, আইন ও মানবাধিকার বিভাগীয় সেক্রেটারি ঢাকা জেলা।মোহাম্মদ হাসান মাহবুব মাস্টার, রাজনৈতিক বিভাগীয় সেক্রেটারি ঢাকা জেলা। অধ্যক্ষ মো: লুৎফর রহমান মোল্লা, সাংস্কৃতিক বিভাগীয় সেক্রেটারি ঢাকা জেলা।মাওলানা শামসুল আলম,আমীর ধামরাই পৌরসভা। মাওলানা মো: শাহাদাত হোসাইন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও সহকারী সেক্রেটারি ঢাকা জেলা ও আসন পরিচালক ঢাকা-২০( ধামরাই)। মাওলানা মো: আ: হালিম,আমির ধামরাই থানা ও আসন সচিব ঢাকা-২০( ধামরাই)।