কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার জাওয়ার ইউনিয়নের ইছাপশর বেলংকা গ্রামে জামিয়াতুল ইসলাহ আল-মাদানিয়া ময়দানে আগামী শুক্র, শনি ও রবিবার তিন দিন ব্যাপী ইসলাহী ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথাছিল। ইতিমধ্যে ইজতেমার গেইট পেন্ডেল সহ সকল কাজ সম্পূর্ণ করেছিলেন ইজতেমার আয়োজন কমিটি। 

বেলংকা জামিয়াতুল ইসলাহ আল-মাদানিয়া মাদ্রাসার মোহতামিম মোস্তফা হোসাইনের কাছে এই বিষয়ে জনতে চাইলে তিনি বলেন, হটাৎ করে গতকাল রাত্রে তাড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাব্বির রহমান এসে ইজতেমা স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন, তাই আমরা বাকি কাজগুলো বন্ধ করেছি।

এই বিষয়ে তাড়াইল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সাব্বির রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, উপরের নির্দেশ আছে, এছাড়াও  বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অভিযোগ রয়েছে তাই ইজতেমা স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, ১৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার জুম্মার বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমা শুরু হওয়ার কথা। শুক্রবার  ইসলাহী ইজতেমা চলাকালীন সময়ে বয়ান রাখার কথা ছিলো, আওলাদে রাসুল ফিদায়ে মিল্লাত হযরত সায়্যিদ আস'আদ মাদানী রহ.এর কনিষ্ঠ ছাহেবজাদা হযরত মাওলানা মুফতী মওদুদ মাদানী (দেওবন্দ)। ইংল্যান্ড হইতে আগত হযরত মাওলানা ইমাম ক্বাসিম রশিদ আহম্মদ, চেয়ারম্যান আল-খায়ের ফাউন্ডেশন ও ইকরা টিভি, বংশধর ক্বাসিম নানতভী( রহ.)।

এছাড়া দেশ- বরণ্য উলামা-মাশায়েখগণ বয়ান পেশ করার কথা ছিল। শেষ দিন ইসলাহী বয়ান ও আখেরি মুনাজাত পরিচালনা করার কথা ছিল ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহের সাবেক খতিব পীরে কামেল আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ সাহেব। দূরের মুসুল্লীদের বিছানাপত্র সঙ্গে নিয়ে আসার জন্যে আহব্বান জানিয়ে ছিলেন তিনি।